মাইথনে পিকনিকের মরশুম শুরু হওয়ার মুখে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাইপ 




রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল: 

শীতের মরশুমে মাইথন জলাধারে পিকনিক করতে আসে বহু দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা। কলকাতা, আসানসোল,দুর্গাপুর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তো আসে। আসে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে পর্যটকরা ।

শীতের মরশুমে প্রাকৃতিক সবুজ মনোরম পরিবেশে পিকনিক করতে আসে পর্যটকরা, সাথে মা কল্যানেশ্বরী মন্দির দর্শন থেকে মাইথন জলাধার, নৌকা বিহারতো রয়েছে। তবে পিকনিকের মরসুম ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এই মাইথন জলাধারে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়।

আর এই পিকনিকের সিজিনের দিকে তাকিয়ে থাকে এলাকার নৌকা চালক থেকে ব্যাবসায়ীরা। কারণ পর্যটকদের ভিড় হলে পর্যটকরা নৌকা বিহার করলে তাঁদের অর্থ উপার্জন হবে তাতে তাঁদের সংসার চলবে। তবে মাইথন জলাধার থেকে জলের প্রকল্পের কাজ চালু হওয়াতে সেই জলের পাইপ রাস্তার ধারে রাখা রয়েছে ফলে পিকনিকের সিজিনে পর্যটকদের ভিড় হলে যানবাহন পার্কিং করতে অসুবিধে হবে বলে মনে করছেন নৌকা চালক থেকে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। কারণ বেশির ভাগ যে জায়গায় পাইপ গুলো জমা করে রাখা রয়েছে সেই জায়গা গুলোতে যানবাহন পার্কিং করা হয়ে থাকে পিকনিকের সিজিনে ।

তবে এই বিষয়ে হোটেল ব্যাবসায়ী মনোজ তেওয়ারি বলেন এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত আছি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। পাইপ যে স্টক করে রাখা আছে এই জায়গা গুলোতে যানবাহন পার্কিং করা হতো এখন ওই পাইপ গুলোকে অনত্র সরিয়ে ওই জায়গা গুলো খালি করা যাবে কিনা সেটা আলোচনার বিষয়। আলোচনা চলছে বিকল্প ব্যবস্থার। কারণ এই দুমাসের সিজিনের উপর নির্ভর করে থাকে স্থানীয় ব্যাবসায়ী থেকে নৌচালকরা।

এই বিষয়ে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন প্রত্যেক বছর যেরকম ব্যবস্থা থাকে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সেরকম ব্যবস্থা এইবারও থাকবে। পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে পরিষ্কার,পরিছন্ন রাখার দিকটাও বিশেষ লক্ষ্য থাকবে। সাথে মানুষকে সচেতন করার ব্যাপারটা থাকবে।

তবে নৌকা চালক থেকে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা আসা করছেন প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও পর্যটকদের ভিড় হবে বলে মনে করছেন। তবে রাস্তায় পড়ে থাকা পাইপ তাদের সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেটা নিয়েই চিন্তিত।