স্বপ্নাদেশ ! দিনহাটার গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের অকালে মনসা পূজা, কোথাও বিপত্তারিণী
সৃষ্টির আদিকাল থেকে সর্প বিষধর প্রাণী । তার এক মোক্ষম ছোবলেই প্রাণীর প্রাণান্ত । এই অধিভৌতিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এককালে বিপন্ন মানুষ সর্পের অধিষ্ঠাত্রী এক দেবীর কল্পনা করেছিলেন, যিনি বঙ্গদেশে কালক্রমে মনসা নামে পরিচিত। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মনসা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অকালে দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মহিলারা শুরু করেছেন মনসা পূজা, কোথাও বিপত্তারিণী পূজা।
গত এক-দুই সপ্তাহ থেকেই মূলত শুরু হয়েছে এই অকাল মনসা বা বিপত্তারিণীপূজা । গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে চাঁদা সংগ্রহ করে এই পূজা করছেন।
এমনি কয়েকজনের মুখোমুখি হতে তারা জানান, স্বপ্নাদেশে দেবী মনসা পূজা করতে বলেছেন। সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় তাই এই পূজা। কিন্তু কার স্বপ্নে দেবী আদেশ দিয়েছেন তা জানা যায়নি।
তবে জানা গেছে এই অকাল পূজায় ভাইয়ের দেওয়া শাড়ি পড়ে পূজায় অঞ্জলি দিতে হবে।
এই পূজা নিয়ে পুরোহিত শঙ্কর চক্রবর্তীর সাথে কথা বলায় তিনি জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে এই হুজুগে পূজার শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১৮ টি পূজা করেছি, আরও বেশ কিছু জায়গায় পূজা বাকি রয়েছে।
সাহেবগঞ্জের এক মালাকার জানিয়েছেন, বেশ কিছু মনসা এবং বিপত্তারিণী মূর্তি তিনি তৈরি করেছেন। বেশ কিছু অর্ডারের কাজ এখনো করছেন। তিনি জানান- প্রায় প্রতি বছরই দুর্গা পূজার আগে বা পরে এমন হুজুগ তৈরি হয়। এর আগে ৫১ টাকার লক্ষ্মী প্রতিমার পূজার হুজুগ তৈরি হয়েছিলো। এবারো তেমনি।
তবে ভেতরের কাহিনী যাই হোক, দিনহাটার গ্রামে গ্রামে এখন শুধুই মনসা পূজা বা বিপত্তারিণী পূজায় মেতেছে গ্রামীন মহিলারা। ভক্তিভরে পূজা করবার দৃশ্য গ্রামের রাস্তাতে চলতে ফিরতেই দেখা যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊