সরকারি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে শোকজ করলেন বিডিও

Burdwan news


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

সরকারি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে শোকজ করলেন বিডিও। বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুলে সরকারি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে একের পর এক দোকান ঘর। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়তেই তড়িঘড়ি কাজ বন্ধের নোটিশ জারি করা হয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুল বাস স্ট্যাণ্ড এলাকায় এই নির্মাণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সরকারি এলাকায় দোকান ঘর নির্মাণ ও টাকার বিনিময়ে দোকান ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ব্লক আধিকারিক। এরপর শুক্রবার বড়শুল-২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার-কে শোকজ করলেন বর্ধমান-২ নম্বর ব্লক আধিকারিক দিব্যজ্যোতি দাস।




বাজেশালপুর মৌজার অন্তর্গত বড়শুল বাস স্ট্যাণ্ড এলাকাটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের জায়গা হিসেবে রেকর্ড ভুক্ত আছে। এই এলাকাটির একপাশে কঠিন ও তরল বর্জ্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়াকরণের সরকারি প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সীমানা পাঁচিলের গায়েই পর পর বেশ কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৭ টি দোকান ঘর রয়েছে। কংক্রিটের পাঁচিল তুলে দোকান ঘর তৈরি করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু, কারা এই দোকান ঘর নির্মাণ করেছে সেই বিষয়ে সরকারি খাতায় কোনোও তথ্য নেই।




স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়শুল পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশ চন্দ্র সরকারের তত্ত্বাবধানে এই নির্মাণ কাজ করা হয়। প্রতিটি দোকান ঘর ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্টন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।



এই বিষয়ে প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার জানান,আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলাম।আমি বিষয়টি নিয়ে বির্তক তৈরি হওয়ায় তড়িঘড়ি ফিরে আসি।আমাকে বিডিও শোকজ করেছেন।সোমবার আমাকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেছেন। আমরা মিটিং করে রেজুলেশন করি দোকানঘর নির্মাণের।ঠিক হয় পিপিপি মডেলে দোকান ঘর তৈরি করা হবে।সেই কাগজপত্র আছে।

বিডিও দিব্যজ্যোতি দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানকে দোকান ঘর তৈরির জন্য কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেছি।