তিস্তার কড়াল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়ার পথে দুটি গ্রাম !
তিস্তার ভাঙনের জেরে ধংসের মুখে জলপাইগুড়ির দুটি গ্রাম। পরিবারগুলিকে স্থানান্তরিত করে পুনর্বাসনের চিন্তা ভাবনা প্রশাসনের। দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামের শতাধিক বাসিন্দাদের।
বাংলার দুঃখ দামোদর হলেও উত্তরবঙ্গের দুঃখ বোধহয় তিস্তা! তিস্তার ওপর যেমন নির্ভর করে উত্তরবঙ্গের কিছু অংশ মানুষের জীবন জীবিকা ঠিক তেমনি আবার কিছু অংশ মানুষের মাথার ছাদও কেড়ে নেয় এই তিস্তাই। বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করার পর থেকেই নাগারে বৃষ্টির জেরে এবং সিকিমের ভয়াবহ বন্যার ফলে তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার ভয়াবহ রূপ যে কি রকম তা রাজ্যবাসীর অজানা নয়। এবার তিস্তার এই ভাঙনের জেরে কার্যত ধংসের মুখে পড়তে চলেছে জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের চমকডাঙ্গি এবং লালটং বস্তির এই দুই গ্রাম।
ইতিমধ্যে ভাঙন ক্রমশ বেড়েই চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী বছর তিস্তার জলস্ফীতি হলে কিংবা বন্যা পরিস্থিতি হলে ছবির মত সুন্দর সাজানো গ্রাম দুটি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
বতর্মানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ কড়া নজর রাখা হয়েছে পরিস্থিতির উপর। পুজোর সময় রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন জলপাইগুড়ি মহুকমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী।
সম্প্রতি আধিকারিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জলপাইগুড়ির মহুকুমা শাসক বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রাম দুটোকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে লালটং গ্রামের প্রায় ৩৭ টি পরিবার এবং চমকডাঙিতে প্রায় ৮২ টি পরিবারের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট । সেই দুশ্চিন্তা কিভাবে কাটাবে প্রশাসন এখন সেটাই দেখার বিষয়!
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊