Tamannaah Bhatia: বিটকয়েন কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির মুখোমুখি তমান্না ভাটিয়া
ইডি অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে যে তদন্তকারী সংস্থা বৃহস্পতিবার 'এইচপিজেড টোকেন' মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কিত মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তের বিষয়ে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই অ্যাপে বিটকয়েন এবং অন্যান্য কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করার অজুহাতে অনেক বিনিয়োগকারীকে প্রতারিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বলেছে যে অভিনেত্রীর বক্তব্য এখানে তার আঞ্চলিক অফিসে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে ভাটিয়া সেলিব্রিটি হিসাবে অ্যাপ কোম্পানির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কিছু অর্থ পেয়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসে ডেকে পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে। মায়ের সঙ্গে ইডির দফতরে পৌঁছন তমান্না। দীর্ঘ আট ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
জানা যাচ্ছে, এইচপিজেড টোকেন মোবাইল অ্যাপের (HPZ App) বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে তমান্নার। ক্রিপ্টোকারেন্সির ওই অ্যাপের প্রচারে একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়িকা। যার জন্যে সংস্থার তরফে অভিনেত্রীকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এসেছেন তমান্না।
কোহিমা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি এফআইআর থেকে মানি লন্ডারিং কেসটি উঠে এসেছে, যেখানে বিটকয়েনের পক্ষে বিপুল আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তবে ইডি সূত্রে খবর, HPZ নামক অ্যাপের মাধ্যমে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে নেমে অভিনেত্রীর নাম সামনে এসেছে। তবে এই মামলার সঙ্গে সরাসরি কোন যোগ নেই তমান্নার কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও "অপরাধমূলক" অভিযোগ ছিল না।
ইডি আরও জানিয়েছে, অ্যাপে বিনিয়োগকারীদের যথেষ্ট 'রিটার্নের' প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল, 57,000 টাকার বিনিয়োগে তিন মাসের জন্য প্রতিদিন 4,000 টাকা করে লাভ করবে বিনিয়োগকারীরা। এই বিটকয়েন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তহবিল চাওয়া শুরু করে। এইচপিজেড অ্যাপের (HPZ App) মাধ্যমে বিটকয়েন প্রতারণার সন্ধান মিলতেই অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাহিনী। দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে এই মামলায় এখনও অবধি ৪৫৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks