চৌধুরীহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে কুমারী পূজা, প্রস্তুতি জোর কদমে
তপন বর্মন, সংবাদ একলব্য:
হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক দিন। শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গা উৎসব। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালি মেতে ওঠেন এই উৎসবে।
দুর্গা পূজার অন্যতম অঙ্গ হল কুমারী পূজা। রাজ্যের বেলুড় মঠ সহ অন্যান্য রামকৃষ্ণ মঠ গুলিতে মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা হয়ে থাকে।
প্রচলিত কাহিনী অনুসারে একসময় কোলাসুর নামে এক অসুর স্বর্গ মর্ত্য ও পাতাল দখল করে। সেই সময় বিপন্ন দেবতারা মহাকালীর স্মরণাপন্ন হন। এরপর মহাকালী কুমারীর রূপ ধারণ করে কোলাসুরকে বধ করেন। তখন থেকেই কুমারী পূজার প্রচলন। তবে এই পূজাকে কেন্দ্র করে আরও নানান কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।
তবে ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠে নয় জন কুমারীকে পূজা করেন। আর তখন থেকেই বেলুড়মঠে মহাধুমধামের সঙ্গে কুমারী পূজা হয়ে আসছে।
এক বছর থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদের কুমারী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। এই পূজার সময় কুমারীর পায়ে পদ্ম অর্পণ করে মা দুর্গাকেও বন্দনা করা হয়ে। তন্ত্র মতানুযায়ী কুমারী এখানে সাক্ষাৎ যোগিনী । পূজার পূর্বে কুমারী কে স্নান করিয়ে নিয়ে নতুন কাপড় পরিধান করানো হয়। পায়ে আলতা ও কপালে সিঁদুরের টিপ দেওয়া হয়।নানান অলঙ্কারে তাকে সুসজ্জিত করে নেওয়া হয়। এরপর কুমারীকে দেবী জ্ঞানে নানান উপাচারে সমারোহের সাথে পুজো করা হয়।
প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে চৌধুরী হাট শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমেও পূজা প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। মূলত কুমারী পূজাকে কেন্দ্র করে চৌধুরীহাট শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভক্ত বৃন্দের ঢল নামে প্রত্যেক বার। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেন জানান আশ্রম কতৃপক্ষ।
দিনহাটা মহকুমার সীমান্তবর্তী গ্রাম চৌধুরী হাট। বাংলাদেশ বর্ডার লাগোয়া এই গ্রামের চৌধুরী হাট বাজারের পাশেই অবস্থিত শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম। মহা অষ্টমী তিথিতে সকাল সাড়ে নয়টায় এবারে কুমারী পূজা শুরু হবে বলে জানান আশ্রমের মহারাজ স্বামী সেবানন্দ । সেই সাথে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের মাঠে ভক্ত বৃন্দদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত প্রত্যেক বারের মতন এবারের মহালয়ার শুভ লগ্নে আশ্রমের পক্ষ থেকে দরীদ্র নারায়ন দের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks