জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক পদে রদবদল স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের  

Health Department


আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আন্দোলন কারী জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের একাধিক দাবি মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন মৌখিক নয় আশ্বাস কার্যকর হলে তবেই ফিরবেন কাজে। এই পরিস্থিতিতে আজ একাধিক রদবদল করলো সরকার।

আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরানোর কথা বলা হয় DC নর্থ অভিষেক গুপ্তকেও। আর ঠিক পড়ানো হলো তাঁদের।

একনজরে রদবদল-

স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে সরিয়ে নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা করা হল স্বপন সোরেনকে।

স্বাস্থ্য ভবনের পাবলিক হেলথের ওএসডি করে পাঠানো হল দেবাশিস হালদারকে।

যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা হলেন স্বপন সোরেন । মানিকতলার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর ও যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছিলেন স্বপন সোরেন।

অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো সরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা (DME) কৌস্তভ নায়েককেও।

তাঁর বদলে আপাতত নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা করা হল সুপর্ণা দত্তকে।

সদ্য অপসারিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে পাঠানো হল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর করে।



স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও একজনের অপসারণ দাবি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। কিন্তু, তাঁকে সরানো হচ্ছে না বলে রাতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।