জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিধর রাষ্ট্র হল ভারত

pm modi


প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার নিরিখে এই মুহূর্তে এশিয়া মহাদেশে তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত। এমনটাই উঠে এল অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে।


জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিধর রাষ্ট্র হল ভারত। ২৭টি দেশ নিয়ে এমনই একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এশীয় শক্তি সূচক। তালিকায় ভারতের এই উত্থানের কথা জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে দেশের গতিশীল বৃদ্ধি, যুব জনসংখ্যা এবং অর্থনীতিকে সাফল্যের কারিগর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘লওয়ি ইনস্টিটিউট এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’ এই তালিকা তৈরি করেছে।

সামরিক ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব— এই রকম আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তালিকাটি তৈরি হয়েছে। ভারত সেই সব সূচকে অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে। 

2024-এর এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স রিপোর্ট ইঙ্গিত করেছে যে কোভিড-পরবর্তী শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ভারতকে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা 4.2 পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে পরিচালিত করেছে। প্রতিবেদনে আরও হাইলাইট করা হয়েছে যে ভারত অন্যান্য সমস্ত সংস্থান ব্যবস্থা জুড়ে ভাল পারফর্ম করেছে, বিশেষ করে ভবিষ্যতের সংস্থানগুলিতে, যেখানে তার স্কোর 8.2 পয়েন্ট বেড়েছে। এই বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে ভারতের তরুণ জনসংখ্যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় আগামী দশকগুলিতে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে।

India has become the third most powerful nation in Asia



এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সেও ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব বেড়েছে। 2023 সালে, এশিয়া পাওয়ার সূচকে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সাথে ষষ্ঠ-সর্বোচ্চ সংখ্যক সংলাপে অংশগ্রহণ করে ভারত তার কূটনৈতিক কার্যকলাপের গতি বাড়িয়েছে। এটি ভারতকে জাপানকে ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে, সূচকে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসাবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে এবং তার ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করেছে।


কেন্দ্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে প্রভূত উন্নতি করেছে। বহু ক্ষেত্রে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান দেশকে শক্তিশালী করে তুলেছে। ভারতের উপর কারও প্রভাব নেই। পাশাপাশি, দেশের সাংস্কৃতিক প্রভাবও সূচকে ভারতের অবস্থান নির্ণয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।