জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি মানছেন, বৈঠকের পর ঘোষনা মমতার

Mamata Banerjee


অবশেষে আজ সম্পন্ন হল জুনিয়ার ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। আর এদিন বৈঠক হলো প্রায় ২ ঘন্টার বেশি এমনটাই খবর। বৈঠকের পর বিবরণী লেখা হল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত বৈঠকে ডাক্তাররা ও মুখ্যমন্ত্রী। আর বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের মিটিং চলেছে- ৬টা থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১২টা বাজার পাঁচ মিনিট আগে জুনিয়র ডাক্তাররা বেরিয়ে গেলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ৪২ জন মিনিটসে সই করেছেন। রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব সই করেছেন। আমরা উভয়পক্ষ খুশি এতক্ষণ মিটিং করতে পারলাম বলে। ওরা যা বলতে চেয়েছিলেন সেটা রাখতে দিয়েছি। আমাদের বক্তব্য আমরা চেষ্টা করেছি ওদের গুরুত্ব দিয়ে করার।'




তিনি আরো বলেন, 'ওদের ৫ দফার দাবি ছিল। প্রথমটা সিবিআই করছে। ওটা আমাদের হাতে নেই। বাকি ৪টি দাবি ছিল। ৩টি নাম দিয়েছিল- আমাদের ওদের বোঝালাম একসঙ্গে পুরো ঘর খালি করলে প্রশাসন চলবে কী করে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরা বলেছেন, ওদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়েছি।' 



ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। মঙ্গলবার বিকেলে নতুন সিপি-কে নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বদল হবে। তিনি জানান, 'আগামীকাল বিকেল ৪টার পরে কলকাতা পুলিশে বদল আনব, কাল বিকেল ৪টার পরে আরও কিছু রদবদল আনব, বিনীত যেখানে কাজ করতে চেয়েছেন, সেখানে পাঠানো হবে। আরও কিছু বদল আসবে পুলিশের কিছু পদে।' 





ডিসি নর্থের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল। তাঁকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা প্লিজ় কাজে ফিরুন। বলেছি জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেছি, আপনাদের তিনটে দাবি মেনে নিয়েছি। দায়বদ্ধতা দুই পক্ষেরই। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। মানুষের কাছে ডাক্তার ভগবান। তাই আপনারা কাজে ফিরুন।’’



বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সূত্র মারফত জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে, স্বাস্থ্য সচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সরানোর দাবি ছিল এবং অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছিল ডাক্তারদের।