বনধ মানছে না রাজ্য, একগুচ্ছ নির্দেশিকা নবান্নের



আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষন ও খুনের অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে আজ নবান্ন অভিযান ঘিরে ব্যাপক অশান্তি। ইট পাটকেল থেকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। আক্রান্ত হয় পুলিশ-আন্দোলনকারী দুই পক্ষই। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ছাত্রদের অভিযানে পুলিশের অত্যাচারের দাবি তুলে বনধ ঘোষনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, আগামিকাল বাংলাকে সচল রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তৃণমূলেরও হুঁশিয়ারি, 'কাল কোনও ধর্মঘট হবে না।'


এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ধর্মঘট হচ্ছে না বলেই জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “ছাত্রদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা আছে। যে মর্মান্তিক অপরাধ হয়েছে তার সুবিচার সকলেই চাইছি। এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআইয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সুবিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সকলেরই আছে।


বনধের বিরোধীতা করে তিনি বলেন, সুবিচার চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আজ মহানগরী তথা বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার যে প্রয়াস হচ্ছে, তা অসমর্থনযোগ্য। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সকল জনক্ষেত্র বিপন্ন। আগামিকালের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অংশ নেবেন না। সব কিছু চালু থাকবে। অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে।”