গণপিটুনি ও ডাকাতির ঘটনা রুখতে ১১ দফা নির্দেশিকা প্রশাসনের
রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির মতো ঘটনা। বেড়েছে ডাকাতিও আর এতেই নাকি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণপিটুনি ও ডাকাতির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে কেন আগে থেকে গোয়েন্দারা জানতে পারছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বেগ বেড়েছে পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনির ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল ভবানী ভবন। জানা যাচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশকে এনিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই ভবানী ভবনের তরফে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
১১ দফা নির্দেশিকা:
১। গত কয়েক সপ্তাগে রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সকল পুলিশ অফিসারকে সে ব্যাপারে অবগত করতে হবে।
২। খবর সংগ্রহের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশকে আরও ভাল ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। যাতে পুলিশের কাজ সহজ হয়।
৩। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রচার চালাতে হবে।
৪। স্থানীয় ক্লাবগুলিকেও কাজে লাগানো যেতে পারে খবর সংগ্রহের জন্য।
৫। সমাজমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে অনেক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। তা আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
৬। সমাজমাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে হবে। যাঁরা গুজব রটাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।
৭। স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতির মতো ঘটনা আটকাতে ডাকাতদলগুলিকে ধরতে হবে। বিভিন্ন ডাকাতদল সম্পর্কে আরও তথ্য জোগাড় করতে হবে। সেই জন্য বিহার ও ঝা়ড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
৮। ডাকাতদলের ধৃত সদস্যদের বিচার কি হচ্ছে তার নজর রাখতে হবে। সাজা পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৯। নাকা চেকিংয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
১০। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার অভিযান জারি রাখতে হবে। থানার পুলিশ অফিসারদের এ ব্যাপারে বিশেষ সজাগ থাকতে হবে। নজরদারি চালাতে হবে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের।
১১। মহিলাদের সঙ্গে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে, তাতে গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊