Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারের বলি হল এক আদিবাসী গৃহবধূ

একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারের বলি হল এক আদিবাসী গৃহবধূ

House wife death


একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারের বলি হল এক আদিবাসী গৃহবধূ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরও ওষুধ খেতে দিতেন না স্থানীয় ওঝা। তার ফলে তিলে তিলে মৃত্যু হল ওই গৃহবধুর। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন থানার বোলপুর পৌরসভার এক নং ওয়ার্ড বনডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ায়। মৃত গৃহবধুর নাম তুলসী টুডু (২৬)। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। 



ওই গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত ওঝাকে গাছে বেঁধে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। সেই খবর পরপরই এলাকায় এসে পৌঁছই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পরে ওই তান্ত্রিক লক্ষণ সোরেনকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রামবাসীদের সূত্র জানা গিয়েছে, বনডাঙ্গা এলাকায় ওই তান্ত্রিক দীর্ঘদিন ধরেই নিজের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন। সেখানে তিনি ঝাড়ফুঁক করে গ্রামের বাসিন্দাদের রোগ সারিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। 



জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে বন্যার তুলসী টুডু অসুস্থ হয়েছিলেন। সে কারণে তিনি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে দেওয়া ওষুধ গ্রামে ফিরে আসার পর তা খেতে দেয়নি ওই তান্ত্রিক বলে অভিযোগ। নিজের জরিবুটি দেওয়ার বদলে প্রচুর পরিমাণ টাকা, জায়গা জমি এমনকি সোনার গহনা দাবি করতেন তান্ত্রিক। কিন্তু তা দিতে না পারলে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হতো। সেই মতো অবস্থায় বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় তুলসী টুডুর। তার আগে ওই গৃহবধুর বাড়িতে থাকা একটি পেয়ারা গাছ আচমকাই শুকিয়ে যায়। এই বিষয়টি জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি ঝাড়ফুঁক করেই গাছ ও তুলসী টুডুকে মেরে ফেলেছে ওই তান্ত্রিক। তারপরই শুক্রবার গ্রামে তান্ত্রিককে বেঁধে রেখে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code