আবু সিদ্দিক হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে ডেপুটেশন নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চের

Dm office deputation


ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে আবু সিদ্দিক হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামীদের আবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে কোচবিহার জেলা শাসকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যস্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিল নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ (নিপ্রম)।

নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ (নিপ্রম) সমাজে আন্যায়-আত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, হত্যা-গুম, সাম্প্রদায়ীকতা, লিঞ্চিং সহ বিভিন্ন আন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিন ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজদীপ সরকারের বিরুদ্ধে থানা লকআপে নির্মম অত্যাচার চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা আবু সিদ্দিকের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। আবু সিদ্দিক জামিনে মুক্ত হয়ে পরিবারকে জানায় সেই কথা জানায় বলে খবর এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরায় চিকিৎসালয়ে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়।

অভিযোগ উঠেছে যে, সেই নির্মম অত্যাচারের কারনে তার মৃত্যু। বিষয়টির মধ্যে সত্যতা রয়েছে দাবি করে এই ডেপুটেশন দেয় নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ। তাঁদের আরও দাবি এরকম একটি ঘটনা সম্পর্কে শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাব ইন্সপেক্টর রাজদীপ সরকারকে আগাম নিরপরাধ ঘোষনার মন্তব্য ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি সাব ইন্সপেক্টর রাজদীপ সরকারকে বদলি করা হলেও সাসপেন্ডের মত ন্যূনতম ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি জন্য নিরপেক্ষতা নিয়ে হতাশ তাঁরা।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, "এর কিছুদিন আগে খাস কলকাতার বৌবাজারে উদয়ন হস্টেলের মধ্যে মোবাইল চোর সনদেহে এরশাদ আলমকে আবাসিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা রাজ্যবাসি জেনেছে। তাই আমরা মনে করি কোনো একটি সাম্প্রদায়িক বৃহৎ চক্র রাজ্যে অপশাসনের মত পরিস্থতি তৈরি করতে চায়। রাজ্যবাসি বারবার চক্রান্তকারিদের প্রতিহত করেছে বিভিন্ন ভাবে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা যাতে কোনোভাবে কালিমালিপ্ত না হয় সে দিক বিবেচনায় অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর রাজদীপ সরকারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করার আর্জি জানানো হয়েছে কোচবিহার জেলা শাসকের মাধ্যমে।"

নিরপেক্ষ প্রতিবাদি মঞ্চের তরফে আজকের ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরামর্শ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাব্বির হোসেন, বিশিষ্ট আইনজিবি মনিরুজ্জামান ব্যাপারি, সমাজসেবি সম্রাট হক, সমাজসেবি আব্দুল মাতিন, কমিটির জেলা সভাপতি রাহুল হক সহ আরো অনেকেই।