বিয়ের অজুহাতে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ধর্ষন নয় ! ১ জুলাই থেকে কার্যকর নয়া আইন 

law and justice
photo credit: istock




১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নতুন আইনে বিয়ের অজুহাতে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক এখন ধর্ষণের মত অপরাধের মধ্যে বিবেচ্য হবে না। এটি এখন BNS এর 69 ধারায় একটি পৃথক অপরাধ হিসাবে দেখা হবে। এতে বলা হয়েছে, কেউ বিয়ে ও চাকরির অজুহাতে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা এখন থেকে ধর্ষণ বলা হবে না।




তবে ৬৯ ধারায় কঠোর শাস্তির বিধানও করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর বা তার কম কারাদণ্ড হতে পারে। আগে এটি ধর্ষণের ধারায় বিবেচিত হত। একই সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনও ধর্ষণের শ্রেণীভুক্ত। প্রশ্ন উঠছে এই বিধান নিয়ে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।



৬৩, ৬৪ ও ৭০ ধারায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণের বিধান করা হয়েছে। ৬৩ ধারায় ধর্ষণ, ৬৪ ধারায় ধর্ষণের শাস্তি এবং ৭০ ধারায় গণধর্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। ৭৪ ধারায় যৌন শোষণকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।


যেখানে ৭৭ ধারায় নারীদের ছুরিকাঘাতকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নতুন আইনে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কে কোনো স্পষ্টতা নেই।


সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে অপরাধের পর্যায়ের বাইরে রেখেছে। নারীর সাথে অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণের আওতাভুক্ত। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের বিলে কোনো বিধান নেই।