স্থায়ীকরণের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে গন ই-মেল বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ে শিক্ষকদের
বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন পার্টটাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে আজ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে গণ ই-মেলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানিয়েছেন, আমরা ২০১৯ সাল থেকে বারবার বিভিন্ন জেলায় ডি আই, ডি এম, এম এল এ, এম পি, নেতা,মন্ত্রী,সভাধিপতি সকলকে স্মারকলিপি দিয়েছি।বিকাশ ভবন, নবান্ন, রাজভবন, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বাবুর অফিস সকল জায়গায় আবেদন করেছি/ডেপুটেশন দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক পেজে কমেন্টস করে, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ই-মেইল করে এবং দিদিকে বলো, এক ডাকে অভিষেক, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে ফোন করে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলায় জনসভা করার সময় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি করার সময় উনাদের সিকিউরিটি গার্ডের হাতে আমরা আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি।তথাপি আমাদের সমস্যার বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। তাই ১৪ই জুন শুক্রবার পুনঃরায় আমাদের সকল সদস্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেইল করে আমাদের সমস্যার কথা জানাবেন। যদি মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেন তাহলে ভালো, না হলে আগামী দিনে কলকাতায় বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তাঁদের কথায়, "আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষকের অভাব থাকায় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর যখন বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক চলে আসেন তখন সেইসব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা অত্যন্ত অমানবিক। তথাপি আমাদের রাজ্যে এই ব্যবস্থা বামফ্রন্ট আমল থেকেই চলে আসছে। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা নিরুপায় হয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।এইসব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করেন এবং স্কুল ফান্ড থেকে তাদের সামান্য বেতন মাসিক ২০০০টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। সারা রাজ্যে প্রায় সাত হাজার জন আংশিক সময়ে শিক্ষক রয়েছে।একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে আংশিক সময়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদের সরকার স্থায়ীকরণ করেছেন এবং তাদের বাঁচার মতো একটা বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দাবি তাদেরও যেন সরকার ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মের সুনিশ্চয়তা প্রদান করেন এবং বাঁচার মতো একটা বেতন কাঠামো তৈরি করেন।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊