বহিষ্কৃত মহুয়া ভোটে জিতে ফের ছাড়পত্র পেলেন সংসদে
বহিষ্কৃত মহুয়া ফের ছাড়পত্র পেলেন সংসদে। সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। লোকসভা ভোটে লড়াই করে আবার সংসদে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করে নিলেন মহুয়া। কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেন তিনি। মহুয়ার বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবার থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাঁকে হারাতেই দু-দুবার সভাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে জয় পেলেন মহুয়াই।
জয়ের পর মহুয়া বলেন, ‘‘নিজের জয়ের থেকেও বেশি খুশি, বিজেপি নামক এই অশুভ শক্তি, মোদীর মতো অযোগ্য প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারতে রাজ করেছেন ১০ বছরে, তাঁর বিরুদ্ধে আজকের ভোট হয়েছে বলে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কুর্নিশ জানাই।’’
তবে মহুয়ার এই জয় আত্মবিশ্বাস যে মহুয়ার বাড়িয়ে দিল তা স্পষ্ট। শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে নগদ টাকা এবং দামি উপহার নিয়েছেন এমনই অভিযোগ উঠেছিল মহুয়ার নামে। ওঠে আরও একাধিক অভিযোগ শুরু হয় বিবাদ। অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয় গত ৮ ডিসেম্বর। সংসদ পদ খারিজের পর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী। এই আবহে মহুয়াকে আবার কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে প্রার্থী করে তৃণমূল। বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করে কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে। সেই আসনে জয় পেল মহুয়া।
মোদি ম্যাজিককে ব্যর্থ করে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। একে ভাবে সংগরিষ্ঠতা পেল না বিজেপি। 'আব কি বার ৪০০ পার' স্লোগানে যে কোনো কাজ হল না তার স্পষ্ট। একটা বিষয় স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী হলেও আগের মতো আর ‘শক্তিশালী’ হবে না মোদী সরকার। কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য মোদীকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ-র দুই শরিক, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর উপর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊