হুংকারই সার, বিপুল ভোটে হেরে গণনা কেন্দ্র থেকে মুখ লুকিয়ে পালালেন দিলীপ! 

BJP


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:

হুংকারই সার, বিপুল ভোটে হেরে গণনা কেন্দ্র থেকে মুখ লুকিয়ে পালালেন দিলীপ।

লাগাতার চর্চা, ভবিষ্যৎবাণীকে উড়িয়ে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ।কীর্তি আজাদ ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৮১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করলেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭২ ভোটের ব্যবধানে বর্ধমান পুর্বের তৃণমুল প্রার্থী ডা শর্মিলা সরকার পরাজিত করলেন বিজেপির প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকারকে।



এদিন বর্ধমান ইউ আই টি ভবনে বর্ধমান দুর্গাপুর আসনের ভোট গণনা শুরু হতেই নিজের জয় সুনিশ্চিত করতে শুরু করেন। বেলা যত বেড়েছে ততই কীর্তি আজাদের জয়ের মাত্রা বেড়েছে। এদিন সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ দিলীপ ঘোষ গণনাকেন্দ্রে আসেন। কীর্তি আসেন প্রায় সকাল ৮ টা নাগাদ। এদিন প্রথমে পোষ্টাল ব্যালটের ভোট গণনা শুরু হতেই কীর্তি আজাদ অভিযোগ করেন, পোষ্টাল ব্যালট ঠিকমত পূরণ না করার জন্য, তাঁকে দেওয়া ভোট প্রচুর পরিমাণে বাতিল করা হয়েছে।দিলীপ ঘোষ গণনাকেন্দ্রে ঢোকার মুখেই আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন, সবে তো শুরু। এখনও অনেক বাকি। কিন্তু এরপরই বেলা যত গড়িয়েছে, ততই কীর্তি আজাদের চার ছক্কার ঠেলায় মাঠের বাইরে যেতে শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ। ভোটগণনা শেষ হতেই কীর্তি আজাদ ভিক্ট্রি চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, দিলীপ ঘোষকে ছক্কা হাঁকিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। 



এদিকে, ভোট গণনার গতিপ্রকৃতি যতই এগিয়েছে ততই গোটা জেলা জুড়ে তৃণমূল কর্মী, নেতৃত্বরা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর, কালনা, কাটোয়ায় একই চিত্র ধরা পড়েছে।অন্যদিকে, গণনা শেষ হতেই দিলীপবাবু কার্যত মুখ লুকিয়ে গণনাকেন্দ্র ছাড়েন। তাঁকে এই হারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনো কথা না বলেই দ্রুততার সঙ্গে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান। অন্যদিকে বর্ধমানের সাধনপুর এমবিসি ইনষ্টিটিউশনে ভোট গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের হাতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারকে পেয়ে এদিন তৃণমূল কর্মী, নেতৃত্বরা তাঁর কাছে গান শোনাবার আবেদন করতে থাকেন। বেগতিক দেখে অসীম সরকার বাধ্য হন গান গাইতে। তিনি জানান, জনগণের রায় তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন। একপ্রকার তৃণমূল কর্মীদের চাপের মুখে পড়েই সম্প্রীতির গান শোনান অসীম সরকার।



শর্মিলা সরকার বলেন মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ভরসা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করেছেন। তারা যে সবসময় মানুষের পাশে আছেন তার প্রতিফলন হিসেবেই এই জয় বলে জানান শর্মিলা সরকার।