গাঁজা কান্ডে পুলিশের হাতে ধৃত দুই, গন্তব্যে পৌঁছাতে অভিনব পন্থার হাত ধরেই গ্রেফতার!

Ganja recover


গাঁজা কান্ডে পুলিশের হাতে ধৃত দুই। সুত্রের দাবি, এই গাঁজার মালিক সনক চৌধুরী। সে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গাজা সহ আটক করে সনক চৌধুরী ও পরিমল দেবনাথকে। এই দুজনের বাড়ি বড়পাথরী এলাকায়। 



জানা যায় হৃষ্যমুখ ব্লকের নলুয়া এলাকার উদ্দেশ্যে গাঁজার বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ঝড়ি এলাকায় প্রথমে পুলিশ আটক করে সনক চৌধুরীকে। গাঁজার মালিক সনক তার টাটা টিগোর গাড়ি নিয়ে গাঁজা ভর্তি ম্যাক্স গাড়ির সামনে সামনে প্রহরীর মতই ম্যাক্স গাড়ির চালকের সাথে ফোন কলে রেখে যাচ্ছিলো। যাতে গাজা গুলি নিশ্চিতভাবে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারে। এর মাঝেই আটক করে ফেলে পুলিশ সনককে। আর সনক থেকে সিজ করে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোনটি। যার ফলে ম্যাক্স গাড়ির চালক এবং সামনের গাড়িতে থাকা গাঁজার মালিক সনকের মধ্যে যে ফোনে কথোপকথন তা বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর সনক আটক হওয়ার ৫-৭মিনিটের মধ্যেই পুলিশের সামনে চলে আসে সেই গাঁজা ভর্তি ম্যাক্স গাড়ি নিয়ে গাড়ির চালক। গাঁজা ভর্তি ম্যাক্স গাড়ির চালক সনককে পুলিশ আটক করেছে দেখে ম্যাক্স গাড়ির চালক পরিমল গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির পিছু ধাওয়া করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ দাস। 



এই গাঁজা ভর্তি গাড়িটি প্রথমে জোলাইবাড়ি,বাইখোরা হয়ে আবার মুহুরীপুর হয়ে বিলোনিয়ার দিকে আসার সময় শেষ মেশ রতনপুর এলাকায় গাঁজা সহ গাড়ির চালক পরিমল দেবনাথকে আটক করতে সক্ষম হয়। এই ম্যাক্স গাড়ি থেকে চার বস্তায় মোট ৯৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে বিলোনিয়া মকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে।‌ গাঁজা কারবারি সনক চৌধুরী আবার বড়পাথরী এলাকার বিজেপি নেতা স্বপন চৌধুরীর ছেলে। এই সনক আবার ফার্মাসিস্টও। সনকের বাবা এলকাতে বিজেপি নেতা হিসেবে প্রভাব রয়েছে। এই স্বপন চৌধুরীর সাথে বিলোনিয়া থানার কিছু অংশের পুলিশের হর্তাকর্তাদের উঠাবসাও রয়েছে। সেই সুবাদে গাঁজা উদ্ধার কান্ডে ধৃত সনক চৌধুরীকে এই মামলা থেকে রেহাই দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একাংশ পুলিশের হর্তাকর্তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এমনই সূত্রে জানা যায়। গাঁজা কান্ডে অভিযুক্ত সনককে যদি মামলা থেকে রেহাই দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে তাহলে লোক দেখানো গাঁজা আটকের পুলিশের নাটক কেন এই প্রশ্ন উঠছে বার বার। কতিপয় পুলিশের ভূমিকায় রাজ্যের আরক্ষা প্রশাসন কি ভূমিকা পালন করে সেটাই বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।