নদী বাঁধে বড় ফাটল, বাঁধ তৈরীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ, কি বলছে শাসক ও বিরোধী?

River dam


আবারো নামখানায় এলাকায় নদী বাঁধে বড় ফাটল, বাঁধ তৈরীর নামে নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে।

আইলা, আমফান ও ইয়াসের দগদগে ক্ষত আজও রয়ে গিয়েছে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগরদ্বীপ, রায়দিঘি ও কাকদ্বীপের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে। আবারো নামখানার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী।

পূর্ণিমা-অমবস্যার কোটাল সহ বর্ষার তিনমাস নদী এবং সমুদ্র বাঁধে ফাটল ও ভাঙনের জেরে অনেক সময় এলাকায় নোনা জল ঢুকে ক্ষতি হয় কাঁচা বাড়ি, চাষের জমি, সবজি বাগান এবং মাছ চাষের পুকুর। সুন্দরবনবাসীদের অভিযোগ, ভোট এলেই বাঁধ তৈরী নিয়ে হাজারও প্রতিশ্রুতি দেয় শাসক দলের নেতারা। আর ভোট ফুরোলেই যেই কে সেই ! আর ভাঙন আটকাতে বাঁশ ও কাঠের রেলিং দিয়ে মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয় তা খুবই নিম্নমানের। তাতে বিশেষ কিছু কাজ হয় না বলেও অভিযোগ।




মাটির বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত কয়েক বছর ধরে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন উপকূলের বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের দাবি কেউ কোনরকম কর্ণপাত করে না। আর তাই নির্বাচনের মুখে বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের ভাঙন সমস্যার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ভোটের প্রচারে এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে। বর্তমানে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৮, ১৬, ৪৫৪। আর এই ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের ভোট এবারের নির্বাচনে শাসক তৃণমূলের কাছে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা। 



তবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দুর্নীতির নামে কুৎস্যা করে কোন লাভ হবে না বিরোধীদের।ওরা মিথ্যে কথা বলছে। সুন্দবনজুড়ে সমস্ত নদী ও সমুদ্র বাঁধ স্থায়ী করা হচ্ছে। ভাঙনের বড় অংশে কংক্রিটের বাঁধ তৈরী হয়েছে ও কাজ চলছে। মানুষ সব জানে। তাই উন্নয়নকে সামনে রেখে মানুষ আবার তৃণমূলকেই ভোট দেবে।