বিদ্রোহী কবি নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন দিনহাটায়
দিনহাটা :
আজ ২৫ মে (শনিবার) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম এই প্রাণপুরুষের নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘বিদ্রোহী কবি’, ‘প্রেমের কবি’, ‘সাম্যের কবি’সহ নানা অভিধা।
জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দিনহাটার বিদ্যাসাগর দ্বিশততম জন্মোৎসব কমিটি ।
এদিন সকালে প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পাশাপাশি উক্ত কর্মসূচিতে ছোট্ট আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্রোহী কবির প্রতিকৃতি নিয়ে শহর পরিক্রমাও করতে দেখা যায় ছাত্রছাত্রী দের মধ্যে । এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ জন।
আমাদের প্রিয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে সাম্যবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন তা তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন। তিনি যে একজন প্রকৃত সাম্যবাদী কবি ছিলেন তার প্রতিফলন আমরা তার কবিতা ও গানে দেখতে পাই। কবির মন ছিল অত্যন্ত কোমল; মানুষের সামান্যতম দুঃখ কষ্টকে তার হৃদয়ে বেদনার রেখাপাত করে গেছে। যা আমরা কবির লেখা পাঠ করলে সহজেই অনুধাবন করতে পারি। চরম দারিদ্র্যতা তাকে কষাঘাতে নিষ্পেষিত করেছে বলেই কী তিনি নিজেকে এই ঘুণে ধরা সমাজ থেকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন? হয়তো তাই। তা না হলে তিনি তার কবিতায় কী সহজেই এভাবে সমাজের কুলি-মজুরদের নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতনের যে রেখাচিত্র তুলে ধরেছেন তা কী তিনি পারতেন? হয়তো পারতেন। তার পরেও বলব তিনি জীবনকে, সমাজকে আপন আয়নায় দেখেছেন আর ছবির মতো করে তুলে এনেছেন তার একের পর এক কবিতায়।
কৈশোরেই নজরুলের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার ভিত্তি গড়ে ওঠে, যা পরবর্তী সময়ে তাকে সাম্যবাদী হতে পথ মসৃণ করে দেয়। 'রাণীগঞ্জে নজরুলের শৈলেন্দ্রকুমার ঘোষ নামে একজন প্রিয় বন্ধু জুটেছিলেন। নজরুল ইসলাম মুসলমান, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় হিন্দু-ব্রাহ্মণ, আর শৈলেন্দ্রকুমার ঘোষ খ্রিস্টান। তিনবন্ধু একসঙ্গে খেলাধুলা করতেন, একসঙ্গে বেড়াতেন। এই যে তিন ধর্মের তিন বন্ধু একত্রে মেলামেশার কারণেই নজরুলের ভেতর সেই কৈশোর থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা গেড়ে বসেছে। পরবর্তী সময়ে তারই প্রতিফলন, তাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊