ভোটারদের আসস্ত করতে জেলাশাসকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ



কাকদ্বীপ:

গ্রীষ্মের তাপমাত্রার পারদ চড়েছে । অন্যদিকে রাজনৈতিক উত্তাপও বেড়েছে। তার কারণ লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সকল লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে রাজনৈতিক প্রচার ময়দানে নেমে পড়েছে। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন এলাকা। রাজনৈতিক সংঘর্ষে বলির হয়েছে বেশ কয়েকজন। আবারো বছর ঘুরে এলো নির্বাচন কিন্তু নির্বাচন এলে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে ভয়ের বাসা বাধে। সাধারণ মানুষদের একটাই প্রশ্ন "আমার নিজের ভোট আমি নিজে দিতে পারব তো"!।



এবার সাধারণ মানুষদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে অসাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও ভোট দাতাদের আশ্বস্ত করতে সুন্দরবন জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার নেতৃত্বে কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার অধীনে ৫ নম্বর হাট এলাকায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও এলাকার মানুষজনদের আশ্বস্ত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ করা হল।




সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান জেলা শাসক। এলাকার মানুষরা যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে পারে সেই দিকেও সাধারণ মানুষদের অভয় দেন জেলাশাসক। জেলাশাসক সমিত গুপ্তা বলেন, নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন থানা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে এবং ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে, সেই দিকে বিশেষ নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। রক্তপাতহীন নির্বাচন করতে হবে।



লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই মিটবে এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। কিন্তু কষ্ট একটা সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই যাচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের মতন যদি এই লোকসভা নির্বাচন হয় তাহলে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বলির সংখ্যা বাড়বে। জেলা শাসকের এই আশ্বাসে কিছুটা খুশি এলাকাবাসীরা।