Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

রাজার নির্দেশে প্রায় ৩০০ বছর ধরে দোলের পরের দিন হোলিতে মাতে বর্ধমান

রাজার নির্দেশে প্রায় ৩০০ বছর ধরে দোলের পরের দিন হোলিতে মাতে বর্ধমান 

Holi


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:- 


রাজার নির্দেশে দোলের পরের দিন,দোল খেলা হয় বর্ধমানে।সেই রীতি চলছে যুগ যুগ ধরে।




দখিনা ঝির ঝিরে বাতাস, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া নিয়ে আসে বসন্ত।এটি ছয় ঋতুর শেষ এবং শ্রেষ্ঠ ঋতু।বসন্তের রঙে রঙিন হতে ফাল্গুনী পূর্ণমা তিথিতে পালিত হয় বসন্ত উৎসব। নিয়মানুসারে পূর্ণিমার দিন-ই রং আবিরের মাতেন আপামর দেশবাসী। কিন্তু পরিবর্তন শুধু বর্ধমানে। তৎকালীন রাজা মহারাজ মহাতপ চাঁদের সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। দোল পূর্ণিমায় রাজপরিবারে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির, রাধাবল্লভ মন্দিরে কুলদেবতারা দোল খেলেন। দেবতাদের পায়ে আবির দেওয়া হয়।কুলদেবতার দোল উপলক্ষে গানবাজনার আসর বসতো। লুচি মালপোয়া তৈরি হতো। অগণিত প্রজার মধ্যে সেই ভোগ বিলি হতো। কুলদেবতার পূজো শেষ হতে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেতো। রং খেলার সময় পাওয়া যেতো না।তাই সকলের সাথে রং এর উৎসবে মাততে দোলের পরের দিন রং খেলার নির্দেশ দেন মহারাজ মহাতপ চাঁদ।



রাজার নির্দেশনুসারে প্রায় তিনশো বছর ধরে আজো বর্ধমানে হয়ে আসছে দোলের পরের দিন হোলি খেলা । তবে এখন সেই আনন্দ আর না থাকলও। পুরোনো নিয়ম মেনে আজও দোলের দিন চলে কুলদেবতা লক্ষীনারায়ণ জিউর পূজো।সকাল সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদন করা হয় দেব দেবীদের। দর্শনার্থীদের মধ্যে তা বিতরণও করা হয়।




লক্ষীনারায়ণ জিউর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন এই প্রথা প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। তৎকালীন রাজা মহাতপ চাঁদের আমল থেকে হয়ে আসছে। ফাল্গুনী পূর্ণমা তিথিতে দোলের দিন লক্ষীনারায়ণ জিউ ঠাকুরের দোল খেল হয় বলে ওই দিন মানুষের দোল খেলা হতো না।পরের দিন মানুষের হোলি খেলা হতো।সেই থেকেই এই প্রথা মেনে আসছে বর্ধমান বাসী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code