করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১০ মাস অতিক্রান্ত এখন নিখোঁজ কাকদ্বীপের 2 বাসিন্দা, ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছে সংসার


Karamandal express accident



কাকদ্বীপ: 

করমন্ডল এক্সপ্রেস বিপর্যয়ের ১০ মাস অতিক্রান্ত। এখনো পরিবারের কাছে ফিরল না কাকদ্বীপের তিন নম্বর মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিখোঁজ দুজন। মনে করা হচ্ছে সেই দুজন মৃত। কিন্তু নেই কোনো খোঁজ । এখনো সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পরিবারের লোকজন এটা। উল্লেখিত, ২০২৩ সালের ২ জুন মাসের চেন্নাইয়ের রাজমিস্ত্রির কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল কাকদ্বীপ বিধানসভার ৩ নম্বর মধুসূদনপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ শেখ(৩৩) ও জামাল উদ্দিন শেখ (৩৮) সহ ১০ জন পাড়ি দিয়েছিল কাজের উদ্দেশ্যে। এরপর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কেড়ে নিয়েছে ৭জনের প্রাণ। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ দুজন। জীবিত অবস্থায় একজন বাড়ি ফিরে এসেছে।নিখোঁজ দুজনেরই পরিবার চেয়ে আছে সরকারের দিকে। দুর্ঘটনা কেটে গিয়েছে ১০ মাস এখনো মৃতদেহ বাড়ি ফিরল না সকলেই পরিবারের একমাত্র রোজগার করা ব্যক্তি ছিল। পরিবারের একমাত্র রোজগার করা ব্যক্তিদের হারিয়ে দিশাহারা পরিবার। মিলছে না কোন সরকারি সাহায্য। অসহায় পরিবার এখন পথে এসে বসেছে। সাজ্জাদ শেখের পরিবারের আরো করুন অবস্থা। পরিবারের একমাত্র রোজগারে ছিল সাজ্জাদ কিন্তু সাজ্জাদ আর বাড়ি ফিরে নাই সেই বিভীষিকা রাতের কথা এখনো সাজ্জাদ শেখের পরিবারের সদস্যদের মনে পড়লে চোখে চলে আসে জল। হতদরিদ্র পরিবার এখন ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাছে। সাজ্জাদ শেখের তিন ছেলে মেয়ে এখন তারা ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজেদের দিন আনা দিন খাওয়া সংসার চালাচ্ছে। কবে মিলবে সরকারি সাহায্য সে দিকেই চাতক পাখির মতন চেয়ে রয়েছে সাজ্জাদ শেখের পরিবার। 



সাজ্জাদ শেখের স্ত্রী হাফিজা বিবি বলেন, রাজ্যে কাজ ছিল না তাই কাজের সন্ধানে ও পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রি র কাজে গিয়েছিল আমার স্বামী। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আমার স্বামী। সরকারি কোন সাহায্য মিলছে না। স্বামীর কোন সন্ধান মিলছে না। সরকারের কাছে আমার একান্ত আবেদন আমার স্বামী যদি জীবিত কিংবা মৃত থাকে তাহলে আমার কাছে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিক প্রশাসন। তিন ছেলে মেয়ের নিয়ে অভাব অনটনের দিন কাটছে আমাদের। পাড়ায় পাড়ায় ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছে আমাদের সংসার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনপ্রকার সাহায্য মেলেনি আমাদের। কবে মিলবে সরকারি সাহায্য সেও বলতে পারছে না কেউই। কার্যত আমরা পথে এসে বসেছি। 



অন্যদিকে জামাল উদ্দিন শেখ এর পরিবারের এক সদস্য তিনি বলেন, রাজ্যের কাজ নেই! সম্প্রতি রাজ্য সরকার বাজেটে যা ঘোষণা করলো সেই মতন রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। রাজ্যের কর্মসংস্থান না থাকার কারণে ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়েছিল বহু মানুষকে। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত জামাল উদ্দিন শেখ নিখোঁজ রয়েছে। জামাল উদ্দিন মারা গিয়েছে না বেঁচে আছে এখনো পর্যন্ত আমরা জানিনা। পরিবারের একমাত্র রোজগারের ছিল জামাল উদ্দিন। এখন পরিবার ভেঙে পড়েছে কার্যতো অসহায় হয়ে পড়েছি আমরা। কবে মিলবে সরকারি সাহায্য? কবেই বা ফিরে আসবে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিখোঁজ এই দুই ব্যক্তি। সরকারি সাহায্য কবেই বা এসে পৌঁছাবে জামাল উদ্দিন ও সাজ্জাদ এর পরিবারের কাছে অসহায় অবস্থায় চাতক পাখির মতন বসে রয়েছে নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।