শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার, তদন্তভার নিল সিআইডি

Sahajan seikh




মনোজ কুমার বর্মন:

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে গ্রেপ্তার শেখ শাহজাহান। পুরো ৫৫ দিন পর রাজ্য পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করল সন্দেশখালীর কুখ্যাত এই ‘ডন’কে । কিন্তু, কখন, কোথায়, কিভাবে গ্রেপ্তার হলেন শাহজাহান তা নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ রাজ্য পুলিশ। তদন্তভার নিল সিআইডি। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালির ত্রাস। 



সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, বসিরহাট সাব ডিভিশনাল আদালতের লকআপে রাখা হয়েছে আদালতে হাজির করার জন্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাঙ্গনম এর বেঞ্চ পরিষ্কার পরিষ্কার বলে দিয়েছিল শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কোন বাধা নেই আর তারপরেই অতি সক্রিয়ভাবে সবার আগে রাজ্য পুলিশের রাজ্য পুলিশ ধরে ফেললেন শেখ শাহাজানকে। তবে কি ইডি সিবিআই এর ভয়ে শেখ শাহজাহান নিজেই রাজ্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন? গতকাল বুধবার রাজ্যের বিরোধী দল নেতা তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শাহজাহানকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই শেখ শাহাজাহান মমতা পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছে। মমতার সঙ্গে ওর সমঝোতা হয়েছে। জেলের ভিতর থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সন্দেশখালিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন শেখ শাহজাহান।




শেখ শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে এখনো ফুসছে গোটা সন্দেশখালি। তার বিরুদ্ধে শয়ে শয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে । কিন্তু শেখ শাহাজানকে গ্রেফতার করতে রাজ্য পুলিশের এতদিন লাগলো কেন, সেই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কি ,রাজ্য সরকার কোনোভাবে আড়াল করতে চাইছিল সন্দেশখালি এই কুখ্যাত ‘বাদশা’ কে? শাসক দলের তরফে শেখ শাহাজান সম্পর্কেঅনেক নেতৃত্বকেই ব্যাট করতে দেখা গেছে বারংবার এমনকি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেখ শাহজাহানের পক্ষেই কথা বলেছিলেন। যাইহোক, শেষমেষ শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে সন্দেশখালীর মাটিতে এমনটাই আশা করা যায়। কিন্তু ৫৫ দিন পর মহামান্য আদালতের নির্দেশে শেখ শাহাজাহান গ্রেপ্তার হলেও নে তথ্য দৃশ্যে কি ঘটলো তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।