জলপাইগুড়ির চাঁদের পাহাড়-শহর থেকে দূরে 

জলপাইগুড়ির চাঁদের পাহাড়-শহর থেকে দূরে

কিছু কিছু বই আছে যেগুলো একটা নির্দিষ্ট বয়সে না পড়লে আমাদের বাঙালী জীবন অসম্পূর্ণ। যেমন -ছেলেবেলায় ঠাকুরমার ঝুলি, সুকুমার রায়ের গল্প, কবিতা ঠিক তেমনি কৈশোরে "চাঁদের পাহাড়"। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চাঁদের পাহাড় উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র শঙ্কর অ্যাডভেঞ্চারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে পাড়ি দেয়। "চাঁদের পাহাড়" দর্শন করতে দক্ষিণ আফ্রিকা না যেতে পারলেও জলপাইগুড়ি শহরে আপনি আসতেই পারেন। তবে এটা কোনও পাহাড় নয় আদ্যোপান্ত শান্ত নিরিবিলি একটি গ্রাম। এখানে এলে শঙ্করের মতো অ্যাডভেঞ্চার না হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন ছুঁয়ে যাবেই।

ইট-কাঠ-পাথরের নগরে মন না টিকলে অল্প দিনের ছুটিতে আর স্বল্প খরচায় জল শহরের এই গ্রাম হতে পারে একমাত্র ঠিকানা। জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন চাঁদের পাহাড়ে গ্রামে। সবুজ গাছ গাছালিতে ঘেরা এই গ্রামটিকে ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এক পাশ দিয়ে শান্ত ভাবে বয়ে চলেছে নদী তো অপর দিকে রয়েছে চা বাগানের সারি।

গ্রামে পা রাখলেই চোখে পড়বে প্রায় ৪৮ ফিটের সুবিশাল মহাদেবের মূর্তি। স্থানীয়দের কাছে এই গ্রাম ভুশাপাড়া নামেও পরিচিত। পুরনো বিশালাকৃতির বট বৃক্ষের ছায়া, সবুজ ঘেরা চা বাগান, উঁচু পাহাড়ের মত ঢিপি, নদীর কলকল শব্দ, পাখির কিচিরমিচির এই গ্রামের উপভোগ্য বিষয়।

শহরের কোলাহলীর বাইরে কটা দিন এই গ্রামে কাটালে আর ফিরে যেতে ইচ্ছে করবে না। ছুটিতে অল্প খরচার গন্তব্য হতেই পারে "চাঁদের পাহাড় " গ্রাম ।