সরস্বতী প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত বর্ধমানের পালপাড়া
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
হাতে গোনা আর মাত্র দুদিন।আর এই দুদিন পরেই বাগদেবীর আরাধনা।ইতিমধ্যে অনেক বাড়িতে স্থান নিয়েছেন বিদ্যা দেবী। তবুও এখনো বেশীরভাগ স্কুল, কলেজ,ক্লাব, এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের ঘড়েও পৌঁছয়নি বিদ্যা দেহিং দেবী মা সরস্বতী।বিদ্যা দেবীকে সময়ের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে দিন রাত এক করে, নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে তুলির শেষ টানে ব্যস্ত বর্ধমানের মৃৎ শিল্পীরা।
পুরুষদের পাশাপাশি বাড়ির গৃহিণীরাও হাত লাগিয়েছে প্রতিমা গড়তে। বর্ধমানের প্রতিমা পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যেও। তবে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারনে বড়ো প্রতিমা থেকে নাক সিটকেছে অনেকেই। বিদ্যা যাতে ভালো হয় সেই আশাতে দেবীর আরাধনায় ত্রুটি রাখেন না ছাত্র ছাত্রীরা। বর্ধমানের নীলপুরের পাল পাড়া,কমলাদীঘির পার, তেলিপুকুর, নবাবহাট, এলাকার প্রতিটি পালপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের ব্যাস্ততমর একি চিত্র দেখাগেলো সমান ভাবে।
প্রতিমা গড়ার পাট,সুতলি,খড়, রং, ইত্যাদি জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে লাভের পরিমাণ কম হবে জেনেও বংশ পরম্পরা কাজকে বাদদিতে পারেনি অনেক প্রতিমা শিল্পীরা।
প্রতিমা প্রস্তুতকারীরা বলেন এখন সবাই ব্যস্ত।ঠাকুর তৈরি হচ্ছে। নীলপুরের প্রতিমা বর্ধমান জেলা ছাড়াও ভিন্ন জেলা এবং ভিন্ন রাজ্য যায়।তবে জিনিস পত্রের দাম বাড়ার জন্য ঠাকুরে লাভ কম হয়।যে পরিমানে খাটুনি সেই পরিমানে খেটে আর পোশায় না।তবুও করি বাবা থাকতে করে এসেছি। এটা ছাড়াতো আর অন্য কোনো কাজও জানিনা।
তবে বাগদেবীর আরাধনায় ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের উদ্দীপনা বেশি দেখা যায়। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বেশিরভাগ মেয়েরাই লাল পাড় হলুদ শাড়ি পরে অঞ্জলী নেয়। পাশাপাশি পুরুষা ওইদিন ধুতি পাঞ্জাবি পরে। সরস্বতী পূজা মানে মেয়েদের কাছে একটি আলাদা উৎসব। অন্যান্য পূজো থেকে সরস্বতী পূজোটাকে একটা আলাদা গুরুত্ব দেয় ছাত্র ছাত্রীরা। বন্ধু,বন্ধবীর সাথে মেলায় ঘোড়া পার্কে যাওয়,ফুচকা খাওয়া, পূজোর কদিন একটা আলাদা ইজে কাটায় সকলে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊