ঘরে ঘরে, উঠানে ও দোকানে জ্বলে উঠল 'রাম জ্যোতি', লেজার শোয়ের আলোয় স্নান করল রাম মন্দির


ramjoyti



অযোধ্যায় রামলালার জীবনানুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর রামনগরীসহ সারা দেশে 'রাম জ্যোতি' জ্বালিয়ে দীপাবলি উদযাপিত হয়। সন্ধ্যায় অযোধ্যা 10 লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি রাম ভক্তরা বাড়ি, স্থাপনা, দোকানপাট ও পৌরাণিক স্থানে 'রাম জ্যোতি' প্রজ্জ্বলন করেন। সরযূ নদীর তীর থেকে মাটির তৈরি প্রদীপ দিয়ে আলোকিত হয়েছিল অযোধ্যা। রামলালা, কনক ভবন, হনুমানগড়ী, গুপ্তারঘাট, সর্যু সৈকত, লতা মঙ্গেশকর চক, মণিরাম দাস সেনানিবাস সহ 100টি মন্দির, প্রধান মোড়ে এবং সর্বজনীন স্থানে প্রদীপ জ্বালানো হয়।

প্রাণ প্রতিষ্টার পর মানুষ ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালায়। ঘাটে প্রজ্জ্বলিত প্রদীপগুলি এক অলৌকিক আভা ছড়াতে দেখা যায়, যা দেখে মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়। সন্ধ্যায় সরুর তীরে আনুষ্ঠানিক আরতি করা হয়। এই সময় লোকেরা রামের নামে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাদের প্রিয় ভগবান শ্রী রামকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানায়।

দীপোৎসব উপলক্ষে সার্যু ঘাটে আকর্ষণীয় সারি দিয়ে প্রদীপ সজ্জিত করা হয়েছিল, যা দেখে মনে হয়েছিল যেন তারারা পৃথিবীতে জ্বলছে।

রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর অযোধ্যায় দীপোৎসব পালিত হয়। এর পরে, শ্রী রাম মন্দিরে ভগবান রামের চিত্রিত একটি গ্র্যান্ড লেজার এবং লাইট শোর আয়োজন করা হয়। যার রঙিন আলোয় শুধু রামলালার মন্দির নয় পুরো মন্দির আলোকিত হয়ে ওঠে। লেজার শোর রংধনু রঙের আভা ছিল দেখার মতো।

তবে রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলেও এখনই সদ্য প্রাণ পাওয়া রামলালার দর্শন করা যাবে না। রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষে সভাপতি মহন্ত নিত্যগোপাল দাস জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে সোমবার সন্ধ্যারতির পর বিশ্রাম করবেন রামলালা। সাধারণ ভক্তেরা মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দর্শন করতে পারবেন। তবে জেলা প্রশাসনের অনুমান, সাধারণ মানুষ রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন। রবিবার রাতেই হোটেল বা ধর্মশালায় জায়গা না থাকায় অনেক মানুষ রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন। প্রশাসন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের তরফে তাঁদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সোমবার রাতে যাতে কেউ লাইনে না দাঁড়িয়ে পড়েন রামলালাকে দর্শনের জন্য, সেই মর্মে প্রশাসনের তরফে অনুরোধও করা হচ্ছে। তবে প্রবল জনস্রোত কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে।