বিজেপির পর এবার তৃণমূলের ক্ষোভের মুখে মালদা জেলা বইমেলা

Malda book fair


মালদা: 


বিজেপির পর এবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্বের ক্ষোভের মুখে মালদা জেলা বইমেলা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী ও দুলাল সরকার অনুপস্থিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ।




দুলাল সরকারের অভিযোগ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ফাই ফরমাসখাটা কিছু মানুষকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। মালদা জেলা পরিষদের অনেক শিক্ষিত সদস্য ইংরেজবাজার পুরাতন মালদা পুরসভার অনেক শিক্ষিত কাউন্সিলর এমনকি শিক্ষার সাথে এবং বইমেলার সাথে যুক্ত মানুষদের না রেখে তৃণমূল নেতৃত্বের বাড়ির কাজ করা ফাই ফরমাস কাটা এমন কিছু মানুষকে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে আর সেই কারণেই আমি প্রতিবছরের মতন এই বছর বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাইনি দাবি দীর্ঘদিনের ইংরেজ বাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকারের।



অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নারায়ন চৌধুরী। কৃষ্ণেন্দু বাবু বলেন আমি যাইনি বইমেলার একটি কমিটি রয়েছে তারা কাকে রাখবেন না রাখবেন তারাই ঠিক করবেন। ক্যামেরার সামনে তীব্র আক্রমণ না করলেও তার বক্তব্যেও মাধ্যমে তিনি হালকা সুরে তার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন এতদিন আমরা অভিযোগ করছিলাম কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এই বইমেলা ঘিরে কিছু বেআইনি কাজ হচ্ছে আর যে কারণে ই যারা বউয়ের সাথে যুক্ত দলমত নির্বিশেষে মানুষকে এই কমিটিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।




প্রসঙ্গত ২৪ ঘণ্টা আগেই উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু অভিযোগ করেছিলেন বেছে বেছে তৃণমূলের জন-প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে এবং তৃণমূল নেতা এবং কর্মীদের ডাকা হয়েছে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি। এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এরই মাঝে সোমবার বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মালদা বইমেলা স্থান কলকাতা বইমেলার পরেই। আকার আয়তনে এটা রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা। এই বছর মালদা কলেজ ময়দানে এই বইমেলা হচ্ছে। ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে এই বইমেলা। আর এরই মাঝে বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে এই বইমেলাকে।