banglar mati banglar jal: বাংলার মাটি, বাংলার জল, দেখেনিন সম্পূর্ন রাজ্য সঙ্গীত


rabindranath tagore


এবার রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল, পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। রবীন্দ্রনাথের বাংলার মাটি, বাংলার জল গানকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই গান গাইতে হবে রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানে।


প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলা দিবস নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। একটা পক্ষ ২০ই জুনকে বাংলা দিবস হিসেবে নির্ধারন করার কথা তোলেন। আবার রাজ্য সঙ্গীতের দুই একটা জায়গায় পরিবর্তন করার কথা ভেবেছিল রাজ্য। তবে শেষমেষ জারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেখা গেল পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস আর অপরিবর্তিত রবীন্দ্র সঙ্গীত বাংলার মাটি বাংলার জলকেই রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষনা করা হল।


বিভিন্ন রাজ্যের নিজেদের সংগীত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এতদিন তেমন কোনও সংগীত ছিল না। সেই কারণেই রাজ্য সংগীতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-কে রাজ্য সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়।


বাংলার মাটি বাংলার জল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি বাংলা দেশাত্মবোধক গান। এটি ১৯০৫ সালে রচিত হয়েছিল। এটি বাংলায় "বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলন"কে সমর্থন করে লেখা হয়েছিল। বঙ্গভঙ্গের (১৯০৫) প্রতিবাদ করে হিন্দু ও মুসলিম বাঙালিদের পুনর্মিলন করতে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "রাখী বন্ধন উৎসব" শুরু করেছিলেন এবং সেই দিন এই গানটি ছিল আন্দোলনের মূলমন্ত্র। গানটির স্বরলিপি দিয়েছেন ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী। ২০২৩ সালে এটিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকারী রাজ্য সঙ্গীত করা হয়।




গানের কথা
বাংলার মাটি, বাংলার জল
(banglar mati banglar jal)


বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান ॥

বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ
পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক হে ভগবান ॥

বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা
সত্য হউক, সত্য হউক, সত্য হউক হে ভগবান ॥

বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ॥