Xmas: ব্রিটিশ আমল থেকে আজও বড়দিন এলে সেজে ওঠে এই প্রাচীন চার্চ,বেজে ওঠে ঘন্টা
হাতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। তারপরই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই নানা রকমের কেক। সেই সঙ্গে তো রয়েইছে চার্চ এ গিয়ে প্রার্থনা করা। বড়দিনের প্রাক্কালে সেজে উঠছে দেশ থেকে রাজ্য। বাদ নেই জলপাইগুড়ি শহরও।
জলপাইগুড়ির সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড অল এঞ্জেল চার্চ সবচেয়ে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চার্চ। এখন থেকেই এই চার্চ সেজে উঠছে নতুনভাবে বড়দিনের আগে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে বড়দিন পালন শুরু হয়ে যাবে। সকলে ঘুরে দেখতে পারবেন চার্চ এর প্রার্থনা ঘর। ব্রিটিশ শাসনকালে এই চার্জ স্থাপন হওয়ায় সেই সময় ভারতীয়দের জন্য এখানে ছিল প্রবেশ নিষিদ্ধ।
চার্চের ইতিহাসে নজর রাখলে দেখা যাবে জলপাইগুড়ি জেলায় তখন ব্রিটিশ শাসন। তাদের আমোদ প্রমোদের জন্য নানা কিছু যখন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রার্থনা করার জন্য দরকার ছিল একটি চার্চের। ঠিক তখনই ১৮৬৮ সালে তিস্তা নদীর পারে তৈরি করা হয় মাইকেল অ্যান্ড অল এঞ্জেল চার্চটি। প্রার্থনা কক্ষের জানালায় লাগানো হয় বেলজিয়াম কাঁচ। যার ওপর সূর্যের আলো পড়লেই ফুটে উঠত যীশুর ক্রুশবিদ্ধ ছবি। চার্চের মাথায় লাগানো হয় বিশাল ঘন্টা।
তারপর অনেক সময় বয়ে গিয়েছে। তবে নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এই চার্চ। তৈরির পর থেকে আজও প্রতিদিন একইভাবে বেজে ওঠে এই চার্চের ঘন্টা। বড়দিনের আগে এই চার্চ নতুন করে সাজানো শুরু হয়েছে। চার্চের দেওয়ালে লাগানো হচ্ছে নতুন রঙ। আলোর রোশনাই দিয়ে সাজানো হচ্ছে গোটা চার্চ। সাধারণ মানুষদের জন্য আগামী সপ্তাহে খুলে দেওয়া হবে চার্চ।
এই ঐতিহ্যবাহী চার্চ শুধু এখানকার মানুষদের নয় পর্যটকদেরও বেশ আকর্ষণ করে। তাই বড়দিনে তারাও এসে ভিড় জমান এই চার্চে। সব মিলিয়ে জলপাইগুড়িতে বড়দিনের উৎসবের আমেজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊