মাতালহাটে বাইসনের পর এবার হাতি, দলছুট না অন্য কোন কারন? একাধিক প্রশ্ন

elephant


সম্রাট দাস, সংবাদ একলব্য: 

মাস তিনেক আগে মাতালহাট চত্বরে দেখা মিলেছিলো বাইসনের, এবার দেখা মিললো ৬ টি হাতির একটি দল। যা দেখে সকাল থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে এবার হাতির আগমন ঘিরে অভিজ্ঞ মহলে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন।

কোথা থেকে এলো এই ৬ টি হাতি? বর্তমান যে এলাকায় হাতি গুলোর অবস্থান সেই এলাকা থেকে নিকটবর্তী ফরেস্ট চিলাপাতা, যারা দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। তবে এই ফরেস্ট থেকে হাতি আসতে গেলে অতিক্রম করতে হবে তোর্ষা নদী। যা অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

তাহলে দ্বিতীয় সম্ভাবনা থাকছে কুঞ্জনগর বা শালকুমার । এই বনভূমি থেকে হাতির দল আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে গত ১২ তারিখ ঘোকসাডাঙ্গা অঞ্চলে হাতির একটি ছোটদল দেখা গেছে।

তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে এই পথেও রয়েছে একাধিক ছোট নদী এবং একাধিক রাজ্য এবং জাতীয় সড়ক । কুঞ্জনগর থেকে মাতালহাট প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই ব্যবধান কি হাতির দল ১ দিনেই অতিক্রম করে এসেছে? তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

এই বিষয়ে সংবাদ একলব্যকে কোচবিহারের বিশিষ্ট গবেষক, প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকী জানিয়েছেন- " এভাবে লোকালয়ে ৬ টি হাতি চলে আসা খুব চিন্তার বিষয়। বিষয়টিকে বনদপ্তরের বিশেষভাবে তদন্ত করে দেখা উচিৎ। নতুন কোন করিডর তৈরি হয়েছে কিনা, যে পথ ধরে বন্যপ্রানীরা এতদূর লোকালয়ে চলে আসছে তা খুব দ্রুত অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে।"

তবে মাতালহাটের মত এতটা দূরত্বে হাতিরা কি খাবারের খোঁজে এসেছে নাকি পথ ভুলে ?  তবে যে কারনেই হোক, এতটা দূরত্বে হাতির দল চলে এলো আর বন দপ্তর কোন খোঁজ পেলো না, এটা কি করে সম্ভব! বনদপ্তরের ভূমিকাতেও কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।