কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন ঠাকুরের রাস উৎসবের শুভ সূচনা

coochbehar raas


কোচবিহার রাসমেলা বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মেলাগুলির অন্যতম । এই মেলা উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মেলা। এই মেলার জন্য কোচবিহারবাসী অন্তর থেকে গর্ব অনুভব করেন, অপেক্ষা করেন বছরভর। কোচবিহারের প্রধান উৎসব- এই রাসমেলা।

কোচবিহারের দ্বিতীয় মহারাজা ও কামরূপরের দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য নর নারায়ণ অসমের বৈষ্ণবধর্ম গুরু শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নির্দেশের সোনার বংশীধারী তৈরী করে মাঘ মাসের উত্তরায়ণ সংক্রান্তির পূর্ণিমা তিথিতে পন্ডিত অনন্ত কন্দলিকে দিয়ে মূর্তি প্রতিষ্টা সম্পন্ন করেন ।এই বিগ্রহের নাম হয় "বংশীধারী" বা " লক্ষীনারায়ণ " বা " " শ্রী শ্রী মদনমোহন "। শঙ্করপন্থী বৈষ্ণবদের মতে শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে রাধা পূজিতা হননা , এখানে একক ত্রিভঙ্গমুরারী নিত্যপূজিত হন । কালের প্রভাবে কোচবিহারবাসীরা সবনাম ভুলে গিয়ে মদনমোহনের নামেই অর্ঘ দিয়ে থাকেন।

কোচবিহারের রাসউৎসবের মূল আকর্ষন রাসচক্র। কোচবিহারের বাসিন্দা আলতাফ মিঞা বংশপরম্পরায় এই রাসচক্র তৈরী করেন । লক্ষীপূর্ণিমার দিন থেকে আলতাফ মিঞা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা একমাস ধরে নিরামিষ খেয়ে কাগজকেটে নানারকম সুক্ষনকশা করে এবং তারসাথে থাকে দেবদেবীর রঙ্গিন ছবি দিয়ে রাসচক্র বানানো শুরু করেন এবং কোচবিহারবাসীরা রাসচক্র ঘুরিয়ে পুন্য অনুভব করেন।

আজ কোচবিহার জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা রাজ বেশে পুজো করে রাস চক্র ঘুরিয়ে দুশো এগারো বছরের কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন ঠাকুরের রাস উৎসবের সূচনা করলেন।