দাবী না মানলে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলিকে অচল করে দেবার হুঁশিয়ারি

teacher



North Bengal Part-Time Teachers' Welfare Association-এর পুরুলিয়া জেলার DI অফিসে গত 16/10/23 তারিখে একটি স্বারকলিপি DI-এর মাধ্যমে Commissioner of School Education Directorate-কে প্রদান করা হয়েছিল। স্বারকলিপির বিষয়বস্তু ছিল বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা নিযুক্ত এবং স্কুল ফান্ড দ্বারা পরিচালিত পুরুলিয়া জেলা ও উত্তরবঙ্গসহ সমগ্র রাজ্যের সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের 60 বছর পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি প্রদান এবং মাসিক 1,500 টাকার স্কুল ফান্ডের পরিবর্তে সরকার যাতে সরাসরি আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণ করে সেই বিষয়ে বিকাশ ভবনে স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে যে e-file তৈরী হয়েছে, সেই ফাইলটি যাতে দ্রুত কার্যকরী করা হয়। 

সেই স্মারকলিপি বিকাশ ভবনে Commissioner of School Education Directorate-এর কাছে পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানতে আজ সংগঠনের জেলা সভাপতি সমির মণ্ডলের নেতৃত্বে 17 জন পার্ট টাইম শিক্ষক পুরুলিয়া জেলার DI অফিসে হাজির হয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলে  DI উত্তেজিত হয়ে তাদের সাথে কথা বলেন বলে অভিযোগ করেন North Bengal Part-Time Teachers' Welfare Association এর রাজ্য সভাপতি সুশান্ত সরকার।

সুশান্ত সরকার জানান এদিন DI উত্তেজিত হয়ে বলেন " আমরা তোমাদের নিয়োগ করিনি তাই তোমাদের স্বারকলিপি বিকাশ ভবনে পাঠানো হবে না। তিনি আরো জানান পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করার পূর্বেই জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে বলা হয়েছিল, আপনারা বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করুন কিন্তু পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের কোনো ধরনের প্রমাণপত্র দেবেন না, যাতে তারা স্থায়ীকরনের জন্য দাবি জানাতে না পারেন।"

জেলা স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নর্থ বেঙ্গল পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি সমির মণ্ডল বলেন- "আমাদের পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকারা অ্যাটেনডেন্স খাতায় সই করি, স্কুলের চেক বুকে মাসিক সাম্মানিক প্রদান করা হয়, বিদ্যালয়ে পড়ানোর এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকা তাদেরকে দিয়ে সরকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখিয়ে থাকেন তার অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার আমাদের কাছে রয়েছে। তাই এই কথা বলার আগে আপনাদের নূন্যতম লজ্জা ও বিবেকবোধ থাকা দরকার, যেটা আপনার নেই, আপনারা পরিকল্পনা মাফিক 2012 সাল থেকেই আমদের শোষণ করে চলছেন। আপনারা যদি দ্রুত আমাদের বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন আমরা কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে ধাবিত হব।

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সুশান্ত সরকার জানান " আমরা 13/10/23 ও 16/10/23 তারিখে রাজ্যের 15 টি জেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে 30 টি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। কারণ গতবছর দুর্গা পূজার আগমুহূর্তে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহাশয়াকে স্বারকলিপি প্রদান ও অনুরোধ জানানোর পর CMO Grievance Redressal Cell-এর উদ্যোগে বিকাশ ভবনে স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি দ্বরা নিযুক্ত এবং স্কুল ফান্ড দ্বারা পরিচালিত উত্তরবঙ্গ সহ সমগ্র রাজ্যের সমস্ত উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের 60 বছর পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি প্রদান ও সরকার দ্বারা আর্থিক দায়ভার গ্রহণের বিষয়ে একটি e-file তৈরী হয়েছে কিন্তু DI ও School Education Directorate-এর অসহযোগিতার জন্য ফাইলটি বিকাশ ভবনে আটকে রয়েছে। তাই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার পূজার আগমুহূর্তে বিভিন্ন জেলার DI-দের মাধ্যমে Commissioner of School Education Directorate-কে দ্রুত ফাইলটিকে কর্যাকর করার অনুরোধ জানিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করেছি। এর পরেও ওনাদের সহযোগিতা না পেলে আমরা রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলিকে অচল করতে বাধ্য হব।"