Manipur Violence: কয়েক মাস পর মণিপুর থেকে সুসংবাদ, 'নতুন অধ্যায়' বললেন অমিত শাহ্‌ 

unlf



Manipur Violence: মণিপুরে গত 7 মাস ধরে চলমান জাতিগত সহিংসতার অবসানে কেন্দ্রীয় সরকার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কয়েক দফা আলোচনার পর, মণিপুরের সবচেয়ে বিদ্রোহী দল, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF), বুধবার দিল্লিতে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর সাথে ইম্ফল উপত্যকায় UNLF ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্‌ সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি পোস্ট লিখে দেশকে এ কথা জানিয়েছেন।

নিজের পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, " একটি ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF) আজ নয়াদিল্লিতে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করায় উত্তর-পূর্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মোদি সরকারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।"

 


অমিত শাহ পোস্টে আরও লিখেছেন, 'মণিপুরের প্রাচীনতম উপত্যকা-ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী UNLF, সহিংসতা ছেড়ে দিয়ে মূলধারায় যোগ দিতে সম্মত হয়েছে। আমি তাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাগত জানাই এবং শান্তি ও অগ্রগতির পথে তার যাত্রায় মঙ্গল কামনা করি।' 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, 'আজ ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকার ইউএনএলএফ-এর সাথে যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তা ছয় দশকের দীর্ঘ সশস্ত্র আন্দোলনের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে। সর্ব-অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের যুবকদের একটি উন্নত ভবিষ্যত প্রদানের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের দিকে এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন।

এই জঙ্গি সংগঠন UNLF 24 নভেম্বর 1964 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সভাপতি হলেন আর কে মেঘান ওরফে সানা ইয়াইমা, যার লক্ষ্য মণিপুরকে ভারত থেকে আলাদা করে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ জন্য তিনি তার নিজস্ব সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, যাতে যুক্ত হয় বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী। কিন্তু ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনার পর অবশেষে অস্ত্র তুলে দেশের মূলধারায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।