সাপে কাটা চিকিৎসার ঔষধ তৈরিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চরম গাফিলাতির অভিযোগ সাপ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও কমিটির
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
সাপে কাটা চিকিৎসার ঔষধ তৈরিতে চরম গাফিলাতির অভিযোগ উঠলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে।আর এই অভিযোগে সরব হয়েছে সাপ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও রাজ্য সমন্নয় কমিটি।
বর্ষা পড়তেই গ্ৰামগঞ্জে সাপের উপদ্রব বাড়তে থাকে।বাড়ির আনাচে কানাচে, ঝোপে ঝাড়ে, এমনকি বাড়ির গোয়াল ঘরেও দেখা য়ায নানা ধরনের বিশধর সাপের উপদ্রব। সাপ তাড়াতে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যাবহার করে থাকি আমরা সকলে। সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবরও প্রকাশ হয় সর্বত্রই। তবুও সাপে কাটা চিকিৎসার জন্য যে ঔষধের প্রযোজন সেই সব ওষুধ পশ্চিম বাংলায় তৈরী না হওয়ায় রাজ্যসরকারে বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন সাপ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও রাজ্য সমন্নয় কমিটি।
সাপ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও রাজ্য সমন্নয় কমিটি পক্ষ থেকে সারা বাংলা ওর্যাকসপ-এর আয়োজন করা হয় ।পূর্ব বর্ধমান জেলার কাঞ্চননগর দিনোনাথ দাস হাই স্কুলে। এদিনের কর্মশালায় পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জন ট্রেনিং নিতে আসেন।
এদিনের কর্মশালায় এসে ড:শঙ্কর সরকার বলেন সাপে কাটা চিকিৎসার ঔষধ আসে তামিলনাড়ু থেকে। সেখানকার সাপের বিষের পরিমানের থেকে পশ্চিম বাংলার সাপের বিষের বিষ বেশী থাকায় মানুষের শরীরে ম্যাচ করতে বিলম্বনা দেখা দেয়। রাজ্যে অন্যান্য রোগের ওষুধ তৈরি হলেও সাপে কাটা চিকিৎসার কোনো ওষুধ তৈরি হচ্ছে না। সাপে কাটা চিকিৎসার ট্রেনারদের ট্রেনার ডা: দয়াল বন্ধু মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীকে বহুবার চিঠি করেছেন। এবং সরাসরি প্রস্তাব দিলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই মূহুর্তে কথা দিলেও আমলা তন্ত্রিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কবে হবে তার কোনো ঠিক নেই।এখানে সকলের মধ্যেই একটা গাফিলতি আছে বলে জানান তিনি।
অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য মানুষ যতটা সচেতন সাপে কাটা চিকিৎসার জন্য মানুষ ততটা সচেতন না। তাই সকলকে এক যোগে এই বিষয়ে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊