অভিষেককে দেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল: পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে এসে সেচমন্ত্রী

Partha Bhowmik



মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে সিকিমে ধ্বংসযজ্ঞ। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়েছে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। লাশ ভেসে আসছে তিস্তা দিয়ে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে একাধিক লাশ।



মেঘভাঙা বৃষ্টির (CloudBurst) জেরে চুংথাম বাঁধ ভেঙে ভয়াল আকার নিয়েছে তিস্তা। নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস (Flash Floods)। স্রোতের টানে ভেসে যেতে দেখা গেছে বাড়ি ঘর-গাছ পালা। পাহাড়ি রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। চুংথাম এলাকা কার্যত সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বানভাসি লাচেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সেনাছাউনি। NH10 ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।




তিস্তা নদীর জল বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিন বৃহস্পতিবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি সরাসরি গজলডোবার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা গিয়েছে আজ তিনি বৈঠক করেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে। কথা বলেন কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা নিয়ে।



সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘মূলত টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে এদিন আলোচনা হয় যে এর পরবর্তী কী পদক্ষেপ নিলে ভালো হবে’। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘এই বিপদের সময় মানুষের জন্য যা করার প্রয়োজন হবে সবই করা হবে’। সেচ বিভাগের একাধিক আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেন।



এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমীন, মন্ত্রী গুলাম রব্বানী, মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, বিধায়ক খগেশ্বর রায়সহ অন্যান্য জন প্রতিনিধিরা। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে যান সেচমন্ত্রী।



এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে সকাল সকাল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি জানান, তিনি এখানে এসেছেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। কি হয়েছে তা জানা নেই। এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। এদিকে রাজ্যপাল আজ উত্তরবঙ্গে অন্যদিকে আজই অভিষেকদের রাজভবন অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী জানান, উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।