Breaking News Update : কোচবিহারের বিশেষ সংবাদ একনজরে

coochbehar palace


দিনহাটা

এক রাউন্ড গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করল সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের নাজিরহাট বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ওই দুইজনের নাম আলমগীর হক এবং শামসের হোসেন। আলমগীরের বাড়ি গিতালদহের নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এবং শামসেরের বাড়ি নাজিরহাটের গোকুলচাঁদ এলাকায়। কি উদ্দেশ্যে, কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র তারা নিয়ে এসেছে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।

police

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের নাজিরহাট বাজারে আলমগীর হক এবং শামসের হোসেন দুজনে একটি দোকানে গিয়ে রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি জানতে পারে নাজিরহাট ফাঁড়ির পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং হাতেনাতে অস্ত্র সহ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। কি উদ্দেশ্যে এবং কোথা থেকে এই গুলি সহ আগ্নেয়াস্ত্র ওই দুই যুবক আমদানি করেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার ওই দুইজনকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে পুলিশ।




দিনহাটা

সিকিমের হরপা বানে ভেসে যাওয়া দুইটি মৃতদেহ ভারতকে হস্তান্তর করল বাংলাদেশ। শুক্রবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ ভারত বাংলাদেশের গিতালদহ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লালমনিরহাট থানার কর্নপুরের চওড়াটারী গ্রামে দুই দেশের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশাপশি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিস উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে মৃত দেহ দুইটি তুলে দিয়েছে। সিকিমের হরপা বানে তিস্তা নদীতে ভেসে বাংলাদেশের লালমনির হাটের তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় মৃতদেহ দুইটি ভেসে উঠে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে লালমনিরহাট থানা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে বিএসএফ কে খবর দেওয়া হয়। বিএসএফের ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা, গীতালদহ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক রাজেন্দ্র তামাং সহ বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড এর সাথে ফ্ল্যাগ মিটিং করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে মৃতদেহ দুইটি তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লালমনির হাট থানার ওসি ওমর ফারুক, ১৫ নম্বর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলাম। কোচবিহার জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদেহ দুটির এখনো সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।



সিতাই

কামতেস্বরী সেতু থেকে সিঙ্গীমারী নদীতে ঝাঁপ এক কিশোরীর, ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সিতাই দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর চব্বিশের এক কিশোরী বহুদিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয় ওই কিশোরী সেই কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। আজ সেই কারণেই হয়তো কামতেস্বরী সেতু থেকে সিঙ্গীমারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাসিন্দারা দেখতে পায় এক কিশোরী সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে তৎক্ষণাৎ তারা সকলে এগিয়ে এসে সকলের প্রচেষ্টায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিতাই থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে ওই কিশোরীকে তার পরিবারের উপস্থিতিতে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয় পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।




মেখলিগঞ্জ


বন্যা বিপর্যস্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ। সিকিমের বাঁধ ভেঙে বুধবার দিনভর ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা। নদীর দু’ধারে যে জায়গাগুলোতে বিপর্যয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে তার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ। দ্রুত উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী। জয়ী সেতু থেকে বেশ কিছুটা নেমেছে জলের স্তর। তিস্তার চরের বাসিন্দাদের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের। খাবারের প্যাকেটবিলি সহ তাদের সুযোগসুবিধার দিকেও খেয়াল রাখছে প্রশাসন।