India-Canada Conflict: ভারত-কানাডা দ্বন্দে কানাডার পাশে নেই তার ফাইভ আইজও 

India-Canada Conflict



India-Canada Conflict: খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পর, ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণে ভারতের সাথে কানাডার সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Canadian PM Justin Trudeau) নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর পর ভারত ও কানাডা একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ভারতও কানাডার নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ট্রুডো তার বক্তব্যে ক্রমাগত একটি শব্দ ব্যবহার করছেন যা 'বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ'। শনিবার কানাডায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন বলেছেন, নিজ্জর হত্যার গোপন তথ্য দিয়েছে ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স। এর পরই কানাডার পার্লামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ঢেলে দেন জাস্টিন ট্রুডো।

আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং কানাডা। এই দেশগুলির মধ্যে একটি দল আছে, যাদের নাম ফাইভ আইজ। এসব দেশ নিজেদের মধ্যে গোপন তথ্য শেয়ার করে। যেখানে কানাডাও G-7 এর সদস্য। এক্ষেত্রে ব্রিটেন-আমেরিকাকে একপাশে রাখলে অন্য দেশগুলো নিজ্জার হত্যার ঘটনায় বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

যদিও ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে এই বিষয়ে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং কানাডাও এর সাথে কোনো প্রমাণ শেয়ার করেনি। এমনকি G-20 সম্মেলনের সময় আমেরিকা বা কানাডা কেউই ভারতের সাথে কোনো তথ্য শেয়ার করেনি।

এখন সেসব গোয়েন্দা তথ্য ও প্রমাণ নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে। আমেরিকান সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, কানাডাকে নিজ্জর হত্যা সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আশ্চর্যের বিষয় হল আমেরিকার বিডেন প্রশাসন, যারা ভারতের এত প্রশংসা করে, কেন এমন কৌশল অবলম্বন করবে। বর্তমানে আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি সম্পূর্ণরূপে ভারতের উপর নির্ভরশীল।

প্রথমত, কানাডা ফাইভ আইস দেশগুলিকে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং এর সমালোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। কিন্তু পরে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ ৫ ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বিবৃতি দেন। এ ব্যাপারে ভারতের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান তিনি।

ভারত ও কানাডার সম্পর্ক অনেক পুরনো এবং ঘনিষ্ঠ। কিন্তু খালিস্তানিদের সমর্থনের কারণে তারা তিক্ত হয়ে উঠেছে। তিনটি দেশ - আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া - ভারত ও কানাডার বিরোধের সুবিধা নিতে পারে। এই সব দেশই ফাইভ আই এর সদস্য। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কানাডা। এখনও অবধি, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই পড়াশোনার জন্য কানাডায় যায়, তারা অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো অন্যান্য দেশেও যেতে পারে। শুধু এই দেশগুলোই এর সুফল পাবে। ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যখন এসব দেশে যাবে, তখন সেখানকার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।