পরকীয়া সুখ বয়ে আনবে বিবাহিত জীবনে ! সমীক্ষার তথ্যে চাঞ্চল্য 

love


পরকীয়ার ইতিহাস আলোচনায় জানা যায়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ বা প্রাক্ আর্যযুগে এবং পরবর্তী বৈদিকযুগের প্রথমদিকেও সমাজে নারী-পুরুষের অবাধ যৌন সম্পর্ক চালু ছিল। নারীর কৌমার্য বা সতীত্ব বলতে যা বোঝায়, তখন তার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ছিল না। ভারতবর্ষে বিবাহ প্রথা চালু করেন মহর্ষি উদ্দালকের পুত্র শ্বেতকেতু। তার আগে পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর সংজ্ঞা বলতে বোঝাতো মূলত যৌনসঙ্গী। 

মহাভারত যুগে বিবাহ প্রথার মাধ্যমে নির্দিষ্ট যৌনসঙ্গী নির্বাচন ব‍্যবস্থা চালু থাকলেও সমাজে তখনও কিছু অবৈধ যৌন সংসর্গের ঘটনা ঘটতে থাকে। তাই মহাকাব্যের যুগে মহাভারতে কুমারী কন‍্যার গর্ভজাত সন্তানকে “জারজ” না বলে তাকে “কানীন” বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।


পরকীয়ার ইতিহাস যাইহোক, সাম্প্রতিক কালের পরকীয়া নিয়ে এক গবেষণা আপনার চিন্তাভাবনা বদলে দেবে। যে পরকীয়াকে সমাজ খারাপ দৃষ্টিতে দেখে সেই পরকীয়া নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা উল্টো কথা শোনালো।


সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, যে সকল দম্পতিরা পরকীয়ায় লিপ্ত, তাঁদের মধ্যে প্রেম অনেকটাই বেশি। অনেকে তো মনে করেন, স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি আরও বেশি প্রেম বাড়ে, যদি অন্য কোনও মহিলা বা পুরুষ জীবনে আসে। গবেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ মানুষই জীবনে নতুন স্বাদ পেতে চান। বিয়ের অনেক দিন হয়ে গেলে বোরডম চলে আসে। আর ঠিক সেখানেই এন্ট্রি নেয় পরকীয়া।


শুনতে অবাক লাগলেও, সাম্প্রতিক সেই সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করলেন পরকীয়ায় জড়িত প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ। পরকীয়ায় জড়িত প্রায় ২০০০ জন নারী-পুরুষের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে শতকরা ৭১ জন জানিয়েছেন, পরকীয়া করা সত্ত্বেও তাঁদের সাংসারিক জীবন সুখের। একই কথা জানিয়েছেন ৬৩ শতাংশ পুরুষও।




গবেষকদের কথায়, সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারই নাকি চট করে পরকীয়ায় সামিল হন। আর এর ফলে স্বামীর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। অন্যদিকে, পুরুষরা নাকি পরকীয়া করলে স্ত্রীর প্রতি আরও দায়িত্ববান হয়ে ওঠেন। সুতরাং পরকীয়া মানেই যে বাজে জিনিস তা কিন্তু একেবারেই নয়।


পুরুষদের মধ্যে আবার শতকরা ৮১ জনের দাবি, পরকীয়ায় জড়ানোর পর, খারাপ তো নয়ই, বরং উন্নতি হয়েছে তাদের বিবাহিত জীবনের। নারীদের মধ্যে একই মতামত শতকরা ৭২ জনের।


তবে নিজেরা পরকীয়া করলেও নিজের বিবাহিত স্বামী বা স্ত্রীর পরকীয়া করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে সিংহভাগ মানুষেরই। স্বামী বা স্ত্রী-র পরকীয়ায় জড়ানোর কোনও রকম খবর পেলে তাঁরা মারাত্মক রেগে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ।


তবে মনে রাখা ভাল, যে কোনও সম্পর্কই একেবারে ব্যক্তিগত সমীকরণের উপর নির্ভরশীল। তাই এই ধরনের সমীক্ষাকে ধ্রুব সত্য বলে ধরে নেওয়াটা বিচক্ষণতার পরিচয়। আর সবথেকে বড় কথা এই সমীক্ষা আমেরিকার মতন এক দেশের।