কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার লেখক থেকে অভিনেতা, চিত্রশিল্পী থেকে শিক্ষকতা বিচিত্র গুনের অধিকারী 

IPS দ্যুতিমান ভট্টাচার্য



কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার পদে আসছেন IPS দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। বদলি করা হল কোচবিহারের পুলিশ সুপার IPS সুমিত কুমারকে। তাকে পাঠানো হলো ডিআইজি বারাসাত পদে।


এছাড়াও কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার IPS কুমার সানি রাজকে বদলি করে রানাঘাটের এসপি করা হয়। তার জায়গায় আসছেন IPS রাঘব এস। 


কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার শুধুমাত্র একজন সাহসি পুলিশ অফিসারই নন তিনি একজন লেখকও । এবারের পূজায় প্রকাশিত হতে চলেছে তার 'খুনি কে !'


১৯৭৪ সালে জন্ম দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের। বেড়ে ওঠা হাওড়ার সাঁত্রাগাছিতে। দাসনগরের সেন্ট টমাস হাই স্কুলের পর বিদ্যাসাগর কলেজে স্নাতক হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল স্নাতকোত্তর।

(ads1)

বিভিন্ন পেশায় চাকরি। স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা, অ্যাড এজেন্সিতে কিছুকাল রেজিস্টারিং অফিসার হিসাবে সুন্দরবনের পাথর প্রতিমায় বেশ কয়েক বছর। তারপর পুলিশে। এখন একজন আইপিএস অফিসার। হাওড়ায় ডিসিপি সদর পদমর্যাদায় কর্মরত ছিলেন তিনি।

তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি ছাড়াও স্নাতক স্তরের ভূগোলের রিমোট সেন্সিং ও ভূ-জলবিদ্যার ওপর দুটি বই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাদৃত। সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় ধারাবাহিক কলাম ‘পুলিশ কাস্টডি’ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বই ও পত্রিকার প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ শিল্পী। প্রথাগত অঙ্কন শিক্ষা না থাকলেও, বহু বছর ধরে চিত্রকলার প্রদর্শনী একাডেমী অফ ফাইন আর্টস ও অন্যত্রে হয়ে আসছে। বুক ফার্ম থেকে প্রকাশিত হয়েছে স্যুরিয়াল গ্রাফিক নভেল ‘শরাবি’।

(ads2)

অভিনয় জগতেও তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। রঙ্গকর্মীতে ঊষা গাঙ্গুলির সান্নিধ্যে অভিনয়ে হাতেখড়ি। মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রের পর্দায়

ছোটোখাটো চরিত্রে বর্তমানে দেখা যায়। এককথায় বিচিত্র গুনের অধিকারী IPS দ্যুতিমান ভট্টাচার্য । এবার তিনি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়ে আসছেন কোচবিহারে।

সম্প্রতি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (SI), অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (ASI) এবং কনস্টেবলদের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রে থানা ও ফাঁড়িতে টানা তিন বছর এবং এএসআই ও কনস্টেবলের ক্ষেত্রে দু’বছর এক জায়গায় থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


পুলিশ কর্মীদের বদলি সংক্রান্ত ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (প্রশাসন)। পুলিশ কর্মীদের বদলি করার পর নির্দেশ কার্যকর করা সংক্রান্ত রিপোর্ট সমস্ত জেলার এসপি এবং ইউনিট প্রধানদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

তবে সামনেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এভাবে পুলিশের বদলির নির্দেশকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০২৪ এর নির্বাচনকে সামনে রেখেই এমন বদলি বলেও বিরোধিরা বলছেন। তবে এই বদলি রুটিন বদলি বলেই পুলিস সূত্রে জানাগেছে। 

Video News দেখতে ক্লিক করুন- https://youtu.be/OernP92KT4A?si=r5Mh4GjZ_G9iuQOo