Abhishek Banerjee: ইডি দফতর থেকে বেড়িয়ে কেন্দ্রকে নিশানা, ইডি সময় নষ্ট করছে বললেন অভিষেক

Abhishek Banerjee




আজ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির দফতর থেকে বেড়িয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ। ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে খোঁচা দিতেও দেরি করলেন না অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।



ধূপগুড়ি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ইডি-কে দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু এতে ধূপগুড়ি পুনরুদ্ধার হবে না বলে মন্তব্য করেন। বুধবার ইডি জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য নয়, মাইনাস ২ বলেও মন্তব্য করেন।




বৃষ্টি ভেজা কলকাতায় ছাতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, "আগে জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য বলেছিলাম, আজ বলছি মাইনাস ২। শুধু সময় নষ্ট। যাঁরা ইডি-র দফতরে কাজ করছেন, তাঁদের কোনও দোষ দিই না আমি। তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করছেন।"




তিনি বলেন, "রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে অনেক সময়, অনেক কাজ ইচ্ছের বিরুদ্ধেই করতে হয় ইডি-কে। তাঁদের কোনও কর্মীকে দোষ দিই না আমি। সিবিআই দফতরে গিয়েও একই কথা বলেছিলাম। আজও বলছি। ন'-সাড়ে ন' ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস মাইনাস ২। আবার যদি ডেকে পাঠায় মাইনাস ৪ হবে।"




ইডির সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন বলেও জানান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তার কথায়, আবার প্রয়োজনে ডাকলে আসবো। আমার যতটুকু বলার কথা জানার কথা আমি বলেছি। নয় ঘন্টার জায়গায় যদি ২৪ ঘন্টা জেরা করলে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মেরুদণ্ড বিক্রি হবে, ৪৮ ঘন্টা জেরা করলেও বিক্রি হবো না।




এদিন অভিষেক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। সারদা মামলায় ২০১৪ থেকে ২০২৩ এসে গিয়েছে, সাড়ে নয় বছযরে ট্রায়াল শুরু হয়নি। নারদকাণ্ডে ২০১৬-এ কোর্ট অর্ডার দিয়েছে কি হয়েছে। মেরুদণ্ড বিক্রি করে যারা অন্যত্র চলে গিয়েছে, তাদের ডেকে পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। সারদায় কত জন টাকা ফেরত পেয়েছেন, প্রশ্ন তাঁর। এই যদি কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা কি প্রশ্ন অভিষেক। তদন্তের নামে দিনের পর দিন মানুষকে হেফাজতে রাখছেন আমার প্রশ্ন কি সুরাহা হয়েছে? কে ন্যায় বিচার পেয়েছে?



অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'তদন্ত ঠিকমতো চলছে না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য থাকলে, ইডি আদালতে সেই তথ্য পেশ করুক। আমাকে গ্রেফতার করুক। আমার স্ত্রীকে এবং আমাকে এই নিয়ে ইডি-সিবিআই মিলে প্রায় ১০ বারের মত ডেকেছে। আবার ভোট আসলেই ডেকে পাঠাবে। আসলে বিচার তো হচ্ছে না। শুনানি ও সাক্ষ্যপর্ব না-চললে বিচারপ্রার্থীরা বিচার পাবেন কী করে?'



অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'জটায়ু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিলেন, একই জিনিস আমরা এক ভাবে দেখছি, আর আপনি অন্য ভাবে দেখছেন, সেটা কী করে হয়? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন। পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তার পর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে।'