আমার বাংলা নেশামুক্ত বাংলা- প্রচারাভিযানের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি


Droupadi Murmu


রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু আজ কলকাতার রাজভবনে ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’ - এর আওতায় ব্রহ্মকুমারী আয়োজিত ‘আমার বাংলা নেশামুক্ত বাংলা’ প্রচারাভিযানের সূচনা করেছেন।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, মাদক দেশ ও সমাজের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নেশার কারণে যুবসমাজ তাদের জীবনে সঠিক দিশা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত চিন্তার। এই সমস্যা মোকাবিলায় সমাজের সকলের একযোগে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মীয় সচেতনতা, ধ্যান, সামাজিক সহমর্মিতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব। শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু এই ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও এর মোকাবিলায় কাজ করার জন্য ব্রহ্মকুমারীর মতো সংস্থাগুলির প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, যে কোনও ধরনের নেশাই মানসিক উদ্বেগ ও আশেপাশের চাপ থেকে তৈরি হয়। নেশা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই নেশা থেকে আরও অন্যান্য অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মাদকাসক্তের বন্ধু ও পরিবার-পরিজন নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। তিনি সব যুবক-যুবতীদের তাঁদের কোনও বন্ধু যদি নেশার কবলে থাকে, তা হলে অবিলম্বে সেই বিষয়টি পরিবারের নজরে নিয়ে আসার আবেদন জানান।

রাষ্ট্রপতি, মাদকাসক্তদের নিজেদের জীবন নষ্ট না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তারা যদি কোনও মানসিক চাপে থাকেন, তবে বন্ধু, পরিবার-পরিজন বা কোনও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। সদিচ্ছা থাকলে এমন কোনও সমস্যা নেই, যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, অসামাজিক ব্যক্তিরা মাদক ব্যবহার ও এই নেশার সুযোগ গ্রহণ করেন। মাদক কিনতে যে অর্থ খরচ হয়, তা নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের, সমাজের এবং দেশের স্বার্থে এই বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করবে বলে শ্রীমতী মুর্মু আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, যুবসম্প্রদায় আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে তাদের সময় ও শক্তি ব্যয় করা উচিৎ, তার পরিবর্তে নেশার কবলে পড়ে তারা এই মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। পড়ুয়ারা ভুল পথে চলছেন কিনা, তা দেখার দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি মন্তব্য করেন। এই ধরনের কোনও কিছু নজরে এলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ বলে উল্লেখ করেন শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু।