Breaking

Wednesday, August 09, 2023

Nobi Dibos 2023 Date : নবি দিবস, জেনে নিন নবি দিবসের তারিখ

Nobi Dibos 2023 Date : নবি দিবস, জেনে নিন নবি দিবসের তারিখ

Nobi Divas 2023
নবী দিবস 



ইসলাম (Islam) ধর্মের শেষ নবি হজরত মহম্মদ (Muhammad)। মহম্মদ বা পূর্ণ সম্মানসূচক নাম, হযরত মহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (Muhammad) ছিলেন একজন আরবের ধর্মীয়, সামাজিক এবং ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি মতবাদ অনুসারে, তিনি হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী তথা ‘বার্তাবাহক’ ও রাসুল, যার উপর ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয়। 



প্রতি বছর নবি হজরত মুহাম্মদের (Muhammad) জন্মদিন উপলক্ষ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের বারো তারিখে ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবি (Nobi Dibos) হিসেবে পালন করে। এই দিনটিকে নবী দিবস হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। মওলিদ, মহম্মদের জন্মদিন (Muhammad Birthday) বা নবির জন্মদিন নামেও পরিচিত।



ইসলামি ক্যালেন্ডার বা হিজরি ক্যালেন্ডার (Hizri Calendar) অনুসারে রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ অর্থাৎ ১২ই রবিউল আওয়াল মক্কায় জন্ম গ্রহন করেছেন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) (Muhammad)। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে নবি হজরত মহম্মদের জন্ম হয়। এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।



ইসলামি ক্যালেন্ডার বা হিজরি অনুসারে, এবছর অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরির রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২৭শে সেপ্টেম্বর ও ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩। ২৭শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অর্থাৎ মাগরিবের নামাজ থেকে শুরু হবে পরের দিন ২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ই রবিউল আওয়াল।



উৎসবটি ইসলাম ধর্মে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন দিনে পালন করে। সুন্নি মুসলমানরা রবিউল-আউয়াল মাসের 12 তারিখে নবির জন্মদিন হিসেবে এই দিনটি পালন করে, আবার অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা 17 রবিউল-আউয়ালে এটি পালন করে। ঈদ-ই-মিলাদকে নবীর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবেও বিশ্বাস করা হয় এবং এইভাবে কিছু মুসলিম শোক প্রকাশ করে।



ঈদ-ই-মিলাদ (Eid-e-Milad) উদযাপন হল মুসলিমদের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ইসলামের শেষ নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রদর্শনের একটি উপায়। ইসলাম ধর্মের একটা বিরাট অংশ এই দিনটিকে পালন করে থাকে।



ভারত ছাড়া ইথিওপিয়া, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, ইতালি, জর্ডান ও মালদ্বীপের মতো দেশে পালিত হয় এই নবী দিবস। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি বিশেষ উৎসব।



ঈদ মীলাদ-উন-নবীর দিন মুসলমান ধর্মের মানুষেরা ইবাদত করে। মুসলমানরা নবী মহম্মদের জীবন ও শিক্ষাকে স্মরণ করা হয়, এনিয়ে আলোচনা সভা করা হয়‌। আবার, কুরান পাঠ করে এবং গরীব ও অভাবীদের খাদ্য ও বস্ত্র দান করেও এই দিনটি উদযাপিত হয়। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় প্রার্থনা সভার এবং মসজিদ সজ্জিত করা হয়। লোকেরা বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সভা-সমাবেশের আয়োজন করে এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। কেউ কেউ দিনে রোজাও রাখেন। মানুষ এই দিনে সবুজ ফিতা বা সবুজ পোশাক পরে এবং সবুজ পতাকা বহন করে। সবুজ রং ইসলাম ও জান্নাতের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।



যেখানে ভারত ও অন্যান্য দেশে ঈদ-ই-মিলাদ ব্যাপকভাবে পালন করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক অংশ বিশ্বাস করে যে নবীর জন্মদিন উদযাপনের ইসলামী সংস্কৃতিতে কোনো স্থান নেই। সালাফী এবং ওয়াহাবি চিন্তাধারার মুসলমানরা উৎসবের ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করে না।



ইসলামি মতবাদ অনুসারে, নবি হজরত মুহাম্মদ হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী তথা বার্তাবাহক ও রাসুল।

4 comments:

  1. Valo laglo agam jananor jonno

    ReplyDelete
  2. শুভ জন্মদিন হজরত মুহাম্মদ।

    ReplyDelete
  3. জেনে ভালো লাগলো

    ReplyDelete

thanks