পৌরসভার আয় বাড়াতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে নেওয়া হবে পৌর কর! ক্ষোভ প্রকাশ ব্যবসায়ীদের 

Municipality tax



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

পৌরসভার আয় বাড়াতে এবার শহরের ফুটপাতের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের থেকে কর নেওয়ার শিদ্ধান্ত পৌরসভার।



একই ভারের মা ভবানী। সারা দিনের আয় মাত্র তিনশো থেকে পাঁচশো টাকা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে নিজের হাত খরচ বাঁচিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটাতে এই সামান্য আয়েই কোনরকমে সংসার চালান বর্ধমান শহরের ক্ষুদ্র প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। শহরের কার্জন গেট সংলগ্ন এলাকায় রেলিং ঘেরা ছোট্ট জায়গায় বসে কেউ বিক্রি করেন বই খাতা আবার কেউ করেন বস্তার ব্যাগ। কেউ বা করেন শিশুদের জামা কাপড়, জুতো মোজা।এদের প্রত্যেকের দিনের আয় খুব সীমিত হাতে গোনা তিনশো থেকে পাঁচশো টাকা। আর এই টাকা বিক্রি ব্যবসায়ীদের থেকে এবার পৌর কর নেওয়ার দিতে হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিলো পূর্ব বর্ধমান পৌরসভা। তবে পৌরসভা থেকে এখনো কোনো সংবাদ দেওয়া হয়নি ব্যবসায়ীদের।



ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব ট্রেডার্স চেয়ারম্যান বিশ্বেসর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা কর অবশ্যই দেবেন কিন্তু তার আগে ব্যবসার পরিকাঠামোর দিকে বর্ধমান পৌরসভাকে নজর দিতে হবে। ব্যবসার অবস্থা খুবই শোচনীয়, তাই ব্যবসায়ীরা 'কর' তো লোন নিয়ে দেবে না। সমস্ত বাস-কে বর্ধমান শহরে প্রবেশ করাতে হবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। বাসের সমস্যার কারণে বহু মানুষ বর্ধমান শহরে প্রবেশ করতে পারছেন না, আর তাতে বহু অংশে লোকসানের মুখে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।



শহরের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্ধমান শহরে এখন ব্যবসার হাল একদম খারাপ। সকাল থেকে দোকান খুলে সারাদিনে বিক্রি মাত্র তিনশো থেকে পাঁচশো টাকা।নিজেদের হাতখরচের টাকা বাঁচিয়ে যে টাকা বিক্রি করি তা নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের জন্য।ব্যবসায়ীদের দাবি শহরের ভিতর দিয়ে বাস এবং টোটো চলতে দিতে হবে। বাস টোটো না চলার জন্য ব্যবসার হাল খারাপ।



বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার বলেনশহরের ছোটো বড় সমস্ত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে গিয়ে রাস্তা ঘাট নোংরা করে।পৌরসভার ড্রেন আলো জল ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা রাস্তায় যে নোংরা ফেলেন সেই নোংরা পৌরসভাকে পরিস্কার করতে হয়। আমরা যেমন তাদের ব্যবসার দিক ভেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখছি তেমনি ভাবে তাদেরও প্রয়োজন পৌরসভাকে কর দেওয়া।