WB DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক, সাথে কালা দিবস পালন 

WB DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক, সাথে কালা দিবস পালন




বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিলো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- আগামী ২৩ আগস্ট বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন  বিধানসভা (West Bengal Assembly) অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো আজ। এছাড়াও আগামী ১৪ আগস্ট সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিক্ষোভ অবস্থানের ২০০ তম দিন উপলক্ষ্যে কালাদিবস পালনের ডাক দেওয়া হয় আজ।  

(ads1)


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে প্রায় ২০০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এবার ডিএ (Dearness Allowance) আদায়ের জন্য আজ থেকে শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশনকে এবার লক্ষ্য করলো মঞ্চ।




এছাড়া আগামী ১৪ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে কালো ব্যাচ পরে কালাদিবস পালনের কর্মসূচীও নেওয়া হলো।

(ads2)

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন বলেছিলেন যে সরকার ডিএ দিতে পারে না তাদের সরকারে থাকার অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন তাঁকে সেই কথা মনে করাতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিচ্ছি।’’



প্রসঙ্গত এর আগে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে সামিল বাকি বিরোধী দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছিল তৃণমূল-সহ ২৬টি বিরোধী দল। যার প্রথম দফার বৈঠক সোমবার হয়েছে। আর সেদিনই কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, DMK, NCP ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলকে চিঠি পাঠিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সেই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে, কেন্দ্রের সমান DA দেওয়া হয়। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে তাদের কর্মীদের ৪২ শতাংশ DA (Dearness Allowance) দেয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৬ শতাংশ। সরকারি দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। যা রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগের বদলে, চুক্তিভিত্তিক বিপুল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।



এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে চিঠিতে আরও লেখা হয়েছিল, বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ও স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন।



মঞ্চের তরফে বিরোধী দলগুলির কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল, যেহেতু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় স্তরের ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য যেন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।