Rajiv Gandhi: আজ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন, ছিলেন পাইলটও, প্রযুক্তিগত ও যোগাযোগ বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন তাঁর আমলেই 

Rajiv Gandhi


আজ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর জন্মদিন। তিনি মাত্র ৪০ বছর বয়সে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। ইচ্ছা না থাকলেও রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রাজীব গান্ধী। রাজীব গান্ধী ১৯৭৭ সালের ২০ আগস্ট মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজ জীবনে বেশ লাজুক ছিলেন তিনি।



প্রথমে দিল্লিতে এবং তারপর দেরাদুনে পড়াশোনা করার পর তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে ডিগ্রি অর্জন করা হয়নি। এরপর তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি কোর্স শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি সেখানে ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি এবং ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে এসে দিল্লির ফ্লাইং ক্লাবের সদস্য হন এবং পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরিও করেন তিনি। পাইলট হওয়ার ইচ্ছে ছোটো থেকেই ছিল তাঁর। তিনি জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার জন্য পড়তে তার ভালো লাগে না।



ভাই সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর মা ইন্দিরা গান্ধীর জন্য অনিচ্ছা সত্বেও রাজনীতিতে যোগ দেন রাজীব গান্ধী। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর তাকে তার শখ এবং চাকরি দুটোই ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এমনকি অনভিজ্ঞ ট্যাগ বসেছিল তার রাজনৈতিক জীবনে।



সম্ভবত পাইলট হওয়ার সময় থেকেই রাজীব ড্রাইভিং সিট পছন্দ করতেন। এই কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও অনেকবার নিজের গাড়ি নিজে চালাতেন। তিনি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজেই গাড়ি চালাতেন। পাশাপাশি ছবি ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী 'রাজীবের বিশ্ব-রাজীব গান্ধীর ছবি' নামে একটা বই প্রকাশ করেন। রাজীবের সঙ্গীতে খুব আগ্রহ ছিল। তিনি আধুনিক সঙ্গীতের পাশাপাশি পাশ্চাত্য এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় পছন্দ করতেন।



ভারতে প্রযুক্তিগত ও যোগাযোগ বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালেই। ভারত সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেও উন্নীত করেছে এবং ভারতের নিজস্ব সুপার কম্পিউটার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। রাজীব গান্ধী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজের উন্নতির জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।



১৯৯১ সালের ২১ মে রাজীব গান্ধীকে সন্ত্রাসী আত্মঘাতী বিস্ফোরণে হত্যা করা হয়। সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুর পর থেকেই, রাজীব গান্ধীর জন্মদিবস ২০ই আগস্ট সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।