Panchayat Elections 2023: ভোটের দিন প্রাণহানি ১৩, চরম অশান্তি একাধিক জায়গায়
রাজ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কার্যত রণক্ষেত্র বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ও অশান্তির চিত্র ফুটে উঠেছে। ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।
আদালতে দফায় দফায় শুনানিতে রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক কড়া নির্দেশ দেয় বিচারপতি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোটের আগে একাধিক জায়গায় রুটমার্চ করতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু ভোটের দিন প্রায় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী! উঠছে এমনই অভিযোগ। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকও এই অভিযোগ তোলে। ভোটলুট থেকে শুরু করে ছাপ্পা, এমনকি ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি, গুলির খবর উঠে আসে। সর্বোপরি ১৩টি প্রাণ ঝরে গেল। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও উঠে আসছে 'দিদি-মোদি সেটিং' তত্ত্ব কংগ্রেসের তরফে।
রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর মনোনয়ন পর্ব থেকেই শুরু হয় অশান্তি। প্রাণ হারাতে থাকে একের পর একটা প্রাণ। কোথাও বিভিন্ন দলের কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কোথাও বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন খোদ ভোটার। বোমাবাজিতে মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন দলের ১৩ জন কর্মীর। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার পরেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল না বাংলায়। তাই অবধারিত ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা উঠে আসছে।
আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কম জল গড়ায়নি আদালতে। হাইকোর্ট থেকে মামলা চলেছে সুপ্রিমকোর্টেও। সর্বশেষ ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন। কিন্তু কি হল! ৮২২ বাহিনী নামানোর কথা আদালত বলে দিলেও, ১৬০ বাহিনী আসেই পৌঁছয়নি বাংলায়। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ক্ষেত্রে 'দিদি-মোদি সেটিং' তত্ত্ব নিয়ে আরও একবার সরব হয়েছে কংগ্রেস।
দিকে দিকে মৃত্যু, খুন, বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের আস্ফালন, ভয়ঙ্কর তাণ্ডব, বীভৎস সন্ত্রাসের খবর উঠে এসেছে দিনভর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊