কোচবিহারের সন্ত্রাসবলিত এলাকা গুলি থেকে কয়েকশো পরিবারের আশ্রয় দিল বিজেপির জেলা কার্যালয়ে


people




ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া, আর তারপরেই দেখা গেল এক বিচিত্র চিত্র। কোচবিহারের বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রচুর পরিবার দলগতভাবে আশ্রয় নিচ্ছে কোচবিহার জেলার বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে। তাদের চোখে মুখে ভয় এবং আতঙ্ক দুটোই দেখা যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের এক পরিবার জানালেন, প্রথম অবস্থায় খুব সুন্দর ভাবে ভোট হচ্ছিল দুপুর ১২ টার পরে ছাপ্পা শুরু হলে তারা প্রতিবাদ করায় তখন থেকেই শুরু হয় মারধর। বাড়িতে বউ বাচ্চা রয়েছে। রাতে বড় কোন ঝামেলা হলে সহযোগিতা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া এই সমস্ত জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে সেইখানে ভোট পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাস হবে বলে ও আশঙ্কা করছেন তারা। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে তাদের চলে আসতে হয়েছে কোচবিহার বিজেপি জেলা কার্যালয়ে।

প্রসঙ্গত, কোচবিহারে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে দিনহাটা বিধানসভা এলাকা। ইতিমধ্যেই বিজেপির চারজন কার্যকর্তা খুন হয়েছে কোচবিহারে। 

মূল নির্বাচনের দিন কোচবিহার 1 নম্বর ব্লকের ফলিমারীতে প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপির বুথ এজেন্ট মহাদেব বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এসেছিল মূল বিরোধী বিজেপি। এরপরেও প্রায় সমস্ত বুথে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছিল তারা। কিন্তু ভোটের দিন দেখা গেল অন্য ছবি, প্রার্থী থাকলে কি হবে? তাদেরকে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছতে দেওয়া হয়নি 90% বুথে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নজির রাখল কোচবিহার উত্তর বিধানসভা এলাকা।

কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় জানান, নির্বাচনের দিন থেকেই একটু একটু করে কর্মী সমর্থকরা কার্যালয়ে চলে আসছিল। ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ভোটের দিন যে সন্ত্রাস তাদের উপরে হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার দাবিতেই কর্মীদের রক্ষা করার স্বার্থে তারা এই কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। 

এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড়শ এর বেশি পরিবার এসেছে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে। বিশেষ করে দিনহাটা, সিতাই এবং কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা থেকে কার্যকর্তারা নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছে কার্যালয়ে। আমরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করছি তাদের আশ্রয় দেওয়ার এবং সুরক্ষা প্রদান করার।