বামপন্থী ছাত্র যুবদের আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা শহরজুড়ে 

DYFI RALLY


শুক্রবার বামপন্থী ছাত্র যুবদের আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে সকাল থেকে টানটান উত্তেজনায় কাটালেন শহরবাসী। এই আইন অমান্য আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এদিন সকাল ১১ টা থেকেই শহরের লাইফ লাইন জিটিরোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে দেয় পুলিশ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। দুপুর প্রায় ৩ টে নাগাদ বর্ধমান ষ্টেশন থেকে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআইয়ের মিছিল শুরু হয়। বর্ধমান জেলা পরিষদ অভিযানকে সামনে রেখে এই কর্মসুচী নেওয়া হলেও পার্কাস রোড মোড়ের কাছ থেকে বাদামতলা মোড় পর্যন্ত ৪ টে দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড তৈরী করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে আগাম আলোচনা অনুসারেই এদিন পরপর দুটি ব্যারিকেড আন্দোলনকারীরা ভাঙলেও তৃতীয় ব্যারিকেডে এসে থমকে যান বিক্ষোভকারীরা। সেখানেই বসে পড়েন তাঁরা।




এদিন মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষা মুখার্জি, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান, ডিওয়াইএফ আইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি বসু, ডিওয়াইএফ আইয়ের জেলা সম্পাদক অয়নাংশু সরকার, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী প্রমুখরা।




এদিন দীপ্সিতা ধর তিহার জেলে তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন এবং অসিত কুমার মাল অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আগাম বুকিং করতে যাচ্ছেন। কারণ কিছু দিনের মধ্যে ওনারও তো তিহারেই যাবেন। যাতে ওনারা ভালো রুমটুম পান , ওনাদের থাকতে কোন অসুবিধা না হয় সেই সমস্ত কথা বার্তা বলতে গেছেন। এবং শুধু দোলা সেন নন এরপর যারা বড়বড় নেতারা আছেন তারাও যাবেন তারাও আগাম যেন গিয়ে তিহার জেলে অনুব্রত বাবুর রুম এবং বাকিদের সাথে নিজেদের জায়গা গুলো পাকাপোক্ত করে আসেন। ওনাদের সবাইকে আমরা দেখতে যাব। যারা যারা এই চুরি ডাকাতিতে যুক্ত রয়েছে প্রত্যেকের পাশে তৃণমূল দল রয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, অভিষেক ব্যানার্জী রয়েছেন ওনারা স্লোগান দিয়েছেন যে মানুষের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জী আর আমার বলছি চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জী। চোরেদের এনার্জি দেওয়ার জন্য পুরো তৃণমূল দল চোরেদের সাথে রয়েছে ডাকাতদের সাথে রয়েছে জেলের ভিতর জেলের বাইরে।




এদিন আলিপুর জেলে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে কুন্তল ঘোষের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ওয়ান টু থ্রি ফোর তৃণমূলের সবাই চোর । একই সঙ্গে বিজেপিও চোর, শুভেন্দুও ঘুষখোর, শুভেন্দুকে তো আমার ঘুষ নিতে দেখেছি। নারোদা স্টিং এর সময় দেখেছি হাত পেতে ঘুষ নিয়েছিল। আমাদের কাছে তৃণমূল বা বিজেপি আরএসএসের মস্তিষ্ক প্রসূত দুটো দল, তাদের চরিত্র কিছু আলাদা নয়। তারা যখনই সরকারে থাকে ক্ষমতায় থাকে তারা চুরি করে ডাকাতি করে সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলে খেলা করে। আমরা বলছি নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং তাতে যারা যারা যুক্ত সবাইকে জেলের মধ্যে দেখার জন্য আমাদের লড়াই চলছে।