খাস জমি উদ্ধারে তৎপর রাজ্য প্রশাসন, আতঙ্কে অবৈধ জমি কারবারিরা
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, সংবাদ একলব্য:
জমি লুটের অভিযোগ উঠছে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে। আর সেই অভিযোগের খবরেই তৎপর রাজ্য সরকারের ভূমি দপ্তর। শিল্পাঞ্চলে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্লটিং বা নির্মিয়মান আবাসনে সরকারি খাস জমি (vested land) দখলের খোঁজে পশ্চিম বর্ধমান জেলা ভূমি দপ্তর। যেখানেই খাস জমি চোখে পড়ছে সেখানেই ভূমি দপ্তরের পক্ষ থেকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভেস্টেড ল্যান্ড (vested land) এর পোস্টার। শুধু তাই নয় নির্মিয়মান আবাসন বা প্লটিং এলাকায় খাস জমি দখল করে দেওয়া বাউন্ডারি ও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমনই ছবি ধরা পড়েছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্লটিং করা এলাকাতে।
এবিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইনের হাত অনেক লম্বা। যারা ভাবছেন অন্যায় করে পার পেয়ে যাবেন তা সম্ভব নয়। দশ বছর পর হলেও ধরা পড়বে। তাই একটা বাড়ি বা একটা গাড়িই যথেষ্ট। যারা অসাধু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল তারাই এখন জমি দখলের ব্যবসায় মত্ত। কারণ ভাবছেন যেমন তেমন ভাবে জমি দখল করা বোধ হয় খুব সহজ। আর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ চলবে না।
অপর দিকে তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমর নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অনেক জমি পুরোনো। কিছু কিছু জমির কাগজ ও নেই। আবার প্রয়োজনে কিছু জমির কাগজ ছিড়ে ফেলাও হয়েছে। তাই জনগণের কাছে অনুরোধ জমি কেনা বেচার আগে দেখে নিন। দরকার হয় আরো 500 টাকা বেশি খরচ করে উকিল দিয়ে কাগজ পত্র সার্চ করিয়ে নিন।আসানসোলে কাগজ না থাকলে বর্ধমানে যান। তার সঙ্গে তিনি প্রমোটারের উদ্যেশ্যে বলেন ভালো করে কাগজ দেখে কাজ করুন। এর সঙ্গে সরকারের এই মহৎ কাজে সবাই সাহায্য করুন।
যদিও বিরোধী নেতা তথা বিজেপি রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, মাঝে মধ্যেই আসানসোল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে (vested land) অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু তাহলে সরকারি জমি দখল হয় কি করে ? বহুবার প্রশাসন কে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ নিয়ে আন্দোলনে নামবে তারা।
প্রসঙ্গত, শিল্পাঞ্চলে বহু জায়গায় সরকারি জমি (vested land) দখল হয়ে গেছে, চলছে প্লটিং বা অবৈধ নির্মাণ। আর তা উদ্ধারে নেমেছে রাজ্য প্রশাসন। জমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks